সৌম্যদের পাশের মাঠে ঝড় তুললেন সাইফ
রয়েসয়ে খেলা ও সময় নিয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য এরই মধ্যে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশেষ খ্যাতি কুড়িয়েছেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক সাইফ হাসান। চলতি লিগেও আজকের আগপর্যন্ত রান করেছেন ৬১১, কিন্তু বল খেলেছেন ৮৪৮টি।
আজকের আগপর্যন্ত বলা হলো কেন? কারণ আজ রীতিমতো টর্ণেডো বইয়েছেন ২০ বছর বয়সী সাইফ। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বোলারদের তুলোধুনো করে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাইফের অগ্রজ সৌম্য সরকার। খেলেন ৭৯ বলে ১০৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
তার দেখাদেখি সে মাঠের পাশেই বিকেএসপির ৪ নম্বরে সৌম্যকেও ছাপিয়ে গেলেন সাইফ। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বোলারদের নাকের ঘাম, মুখের ঘাম এক করে ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। খেলেছেন ১১১ বলে অপরাজিত ১৪৮ রানের ইনিংস।
দলের জিততে লক্ষ্য ছিলো ২৪৫ রানের, ইনিংসের সূচনা করে সাইফ একাই করেছেন ১৪৮ রান। তাও নিজের স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করে। ইনিংসের ৩২তম ওভারে ইলিয়াস সানির ডেলিভারিকে সোজা সীমানার ওপারে পাঠিয়ে মাত্র ৯৭ বলে ৮ চার ও ৭ ছয়ের মারে সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাইফ।
চলতি লিগে এটি তার তৃতীয় এবং লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর যেনো রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন শান্ত ব্যাটিংয়ের ধারক-বাহক সাইফ। পরের ১৪ বলে তিনি করেন ৪৭ রান। ২টি চারের সঙ্গে হাঁকান ৪টি বিশাল ছক্কা।
ইনিংসের ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা এবং তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ম্যাচ শেষে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৪৮ রানের ইনিংস লেখা হয় তার নামের পাশে। সাইফকে সঙ্গ দিয়ে কম যাননি অভিজ্ঞ ফরহাদ হোসেনও।
তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ১৮৮ রানের জুটি। ৩৫তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৭ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৮০ বলে ৭৮ রান করেন ফরহাদ। পরে সাইফের ঝড়ে ৬৯ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় প্রাইম দোলেশ্বর।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে তানবীর হায়দারের সংগ্রামী ফিফটির কল্যাণে ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৪ রান করতে সক্ষম হয় শেখ জামাল। এছাড়া রাকিন আহমেদ ৩৮ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান করেন ৩৬ রান।
প্রাইম দোলেশ্বরের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ফরহাদ রেজা এবং তাইবুর রহমান।
এসএএস/পিআর