অধিনায়কত্ব থেকে বাদ : অবসরই নিয়ে নেবেন মালিঙ্গা!
দীর্ঘদিন সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ৫-০ ব্যবধানে হারের কারণে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের দলে মালিঙ্গাকে নেতৃত্ব থেকে বাদ দিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দিমুথ করুনারত্নেকে।
২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পর আর ওয়ানডেই খেলেননি করুনারত্নে। চার বছরেরও বেশি সময় পর ওয়ানডে দলে ফিরেই বিশ্বকাপে দলের অধিনায়ক! বিষয়টা ঠিক মেনে নিতে পারছেন না লাসিথ মালিঙ্গা। এ কারণে ক্ষোভ থেকেই হয়তো, তিনি বিশ্বকাপের আগেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসতে পারেন। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে মালিঙ্গার পক্ষ থেকে।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে খেলা অভিজ্ঞ এই পেসারের অবসরের ইঙ্গিতে অবশ্য লঙ্কান ক্রিকেটে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। চার বছরে ওয়ানডে দলেই জায়গা হয়নি যে করুণারত্নের, সেই তিনিই কি না বিশ্বকাপ দিয়েই প্রত্যাবর্তন নয় শুধু অধিনায়ক হয়েই ফিরছেন।
ওয়ানডেতে না খেললেও করুণারত্নে গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে টেস্ট সিরিজে স্বাগতিক প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করেছিল লঙ্কানরা। অথচ, মালিঙ্গার নেতৃত্বাধীন দলটি সেই প্রোটিয়াদের কাছেই ওয়ানডে সিরিজে নাকানিচুবানি খেয়েছে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, মালিঙ্গার হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন থাকবে না বিশ্বকাপে।
গত দু’বছরে মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, দিনেশ চান্ডিমাল, থিসারা পেরেরার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ওপর নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু কেউ সফল হননি। অথচ, বিশ্বকাপের দল তৈরি করতে গিয়ে একেবারে অনভিজ্ঞ একজনের কাঁধেই তুলে দেয়া হয়েছে গুরু দায়িত্ব।
নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী পেসার মালিঙ্গা। করুণারত্নেকে অধিনায়ক নির্বাচন করার খবর তার কানে পৌঁছাতেই মালিঙ্গা অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত একপ্রকার নিয়েই ফেলেছেন। অধিনায়ক নির্বাচন করতে বসার ঠিক আগে শ্রীলংকার প্রধান নির্বাচক মালিঙ্গাকে ফোন করেন। তার কাছে তিনি জানতে চান, অধিনায়ক না হলে তিনি বিশ্বকাপে খেলবেন কি না।
প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে কথা বলার এক ঘণ্টা পরেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ করেন মালিঙ্গা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মাঠে আমাদের আর হয়তো দেখা হবে না। আমার পাশে যারা ছিলেন, ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুন।’
মালিঙ্গার এমন মেসেজের খবর প্রকাশ হওয়ার পরই তোলপাড় শুরু হয়। এই খবর প্রসঙ্গে শ্রীলংকান বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, ‘কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে মালিঙ্গা তা স্পষ্ট নয়। মনে হচ্ছে ও নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইছে। তবে মালিঙ্গার বোঝা উচিত, দেশের হয়ে খেলা নেতৃত্বের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতেই শ্রীলঙ্কা হেরেছে মালিঙ্গার নেতৃত্বে।’
আইএইচএস/এমকেএইচ