সুইং দিয়েই বিশ্বকাপ মাতাতে চান রাহী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছিল আবু জায়েদ রাহীর নাম। ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা এবং মাঠে ফিরলেও ফিটনেস ঠিক না থাকার কারণে বিশ্বকাপের দলে তাসকিন আহমেদ অনিশ্চিত। এ কারণেই আবু জায়েদ রাহী ছিলেন আলোচনায়। শেষ পর্যন্ত সেই আলোচনাই সঠিক হলো, তাসকিন নয় বিশ্বকাপের দলে সুযোগ মিললো আবু জায়েদ রাহীর।

আজ দুপুরে বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এই চমকটিই উপহার দিলেন। এরপরই সবার দৃষ্টি চলে যায় এখনও পর্যন্ত একটিও ওয়ানডে না খেলা রাহীর দিকে। কেন তাকে দলে নেয়া হলো, সে ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে নির্বাচকদের।

টিম ঘোষণার পর মিডিয়ার সব ফোকাস চলে যায় রাহীর দিকে। তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে সংবাদ কর্মীরা। মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই রাহী জানালেন, খবরটা তিনি প্রথম শুনেছেন সাংবাদিকদের কাছেই। রাহী বলেন, ‘মূল সংবাদটি পেয়েছিলাম ১২টার দিকে। আপনারা সবাই ফোন দিয়েছিলেন। তখন জানতে পেরেছি এবং অনেক ভালো লেগেছে। আর বিশ্বকাপ যেহেতু, তাই একটু বেশিই ভালো লেগেছে।’

আপনাকে দলে নেয়া হয়েছে মূলতঃ পেসের সঙ্গে সুইং করাতে পারার দক্ষতা দেখেই। তো ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে আপনার সুইং নিয়ে কি পরিকল্পনা? আবু জায়েদ রাহী বলেন, ‘ওসব দেশে বোলিং করা আমাদের জন্য আদর্শ বলতে গেলে। এসব দেশে বল সুইং করানো যায়। আর যেহেতু আমার মূল অস্ত্র সুইং, সুতরাং আমি আত্মবিশ্বাসয়।’

এখনও ওয়ানডে অভিষেকই হয়নি। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে মূলত ৫টি টেস্ট এবং ৩টি ওয়ানডে। সেখানে তো ইংল্যান্ডে গিয়ে খেলার প্রশ্নই নেই। তো এবার ইংল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সেখানে খেলার স্বপ্ন সম্পর্কে নিজের মতামত দিতে গিয়ে রাহী বলেন, ‘ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে। এরপর প্রায় ১০ বছর হয়ে গেছে। তাই ইংল্যান্ডে খেলার ইচ্ছা অনেক বেশি।’

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে টেস্ট খেলে এসেছেন রাহী। সেখানকার অভিজ্ঞতা কি কাজে লাগাতে পারবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ভালো কাজে আসবে। কারণ ওদের সেরা ব্যাটসম্যান যারা ছিলো, তারা ভালো বলছিলো। বলেছিলো একটু কষ্ট করলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আধিপত্য করতে পারবো।’

অনেক ক্রিকেটারেরই আগে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে অভিষেক হয়। টেস্ট অভিষেক হয় পরে। কিন্তু আবু জায়েদ রাহীর ক্ষেত্রে হলো উল্টোটা। তার আগে হলো টেস্ট অভিষেক। এরপর টি-টোয়েন্টি। এখন ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষা। এ নিয়ে রাহীর মন্তব্য, ‘আসলে রোমাঞ্চটা এত বেশি না। সেটা হবে (রোমাঞ্চ) যখন সেরা একাদশে ঢুকতে পারবো।’

বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাবেন- এটা কি অপ্রত্যাশিত ছিল? জানতে চাইলে রাহী বলেন, ‘অবশ্যই অপ্রত্যাশিত ছিলো। আশা করছিলাম যে ২০ জনের মধ্যে থাকবো। এই মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ২টি ম্যাচ খুব ভালো হয়েছে। তখন মনে হয়েছিলো যে ২০ জনের ভেতরে থাকবো। যখন শুনলাম যে ১৫ জনের মধ্যে আছি তখন আরেকটু বেশি সারপ্রাইজ মনে হয়েছে।’

রাহীকে দলে নেয়া হয়েছে মূলতঃ বল সুই করানোর জন্যই। তিনি নিজেই জানালেন সে কথা। রাহী বলেন, ‘বল সুইং করানোর জন্যই তো আমাকে নেয়া হয়েছে। মাশরাফি ভাই বলেছেন, মাঠের ভেতরে যে বল সুইং করানোর চেষ্টা করিস, ভালো জায়গায় বোলিং করার চেষ্টা করিস। আমি আশাবাদি, এখন বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’

বিশেষ কোনো প্রতিপক্ষ আছে কি না? জানতে চাইলে আবু জায়েদ বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে ইংল্যান্ড এবং ভারত এই দুই দল। প্রথমে ইংল্যান্ড দলের কথা বলবো, যেহেতু তারা স্বাগতিক দল, এরপরে ভারত।’

এআরবি/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।