চব্বিশ ঘণ্টায় দুই দেশে মালিঙ্গার দশ উইকেট
জাতীয় দলে ফিরতে, দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার তারকা পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। তাই তো ক্লান্তি ভুলে পুরো মনোযোগটা দিয়েছেন ক্রিকেটের দিকে।
লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের শর্ত, বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে হলে খেলতে হবে দেশের সুপার প্রভিন্সিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে। ওদিকে একই সময়ে চলছে ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএল। বাদ দেয়ার উপায় নেই কোনোটাই।
অগত্যা মালিঙ্গা গড়লেন নজিরবিহীন এক কীর্তি। রাতে খেললেন ভারতের চেন্নাইতে, পরদিন সকালে তাকে দেখা গেলো শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে। বুধবার রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে ধরাশায়ী করে, পরদিন সকালেই তিনি গলের হয়ে লণ্ডভণ্ড করেন ক্যান্ডির ইনিংস।
মালিঙ্গা বুধবার রাতে আইপিএলে খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে। দলকে ৩৭ রানের বড় ব্যবধানে জেতাতে বল হাতে ৩৪ রানে শিকার করেছেন ৩টি উইকেট। ম্যাচ শেষ হতে বেজে যায় রাত প্রায় বারোটা।
দুই দলের ক্রিকেটার সবাই যখন ফিরছেন টিম হোটেলে, লাসিথ মালিঙ্গা তখন নিজের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বিমানবন্দরের পথে। ভারত থেকে শ্রীলঙ্কার দূরত্ব খুব বেশি না হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই নিজ দেশে পৌঁছে যান ঝাঁকড়া চুলের এ পেসার।
পরে বৃহস্পতিবার সকালেই নেমে পড়েন শ্রীলঙ্কার সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ানডে কাপ টুর্নামেন্ট খেলতে। শুধু খেলতে নেমেছেন বললে ভুল হবে। রীতিমতো নিজ শহরের দল ‘গল’কে নেতৃত্ব দিয়েছেন মালিঙ্গা।
ক্যান্ডির পালেকেল্লে স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করে মালিঙ্গার গল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে তার দল। ৫ বল খেলে ২ রান করেন মালিঙ্গা।
মালিঙ্গা তাণ্ডব চালান ঠিক এর পরেই। ২৫৬ রানের জবাবে ক্যান্ডি অলআউট হয় মাত্র ৯৯ রানে। নিজের ৯.৫ ওভারের স্পেলে ৪৯ রান খরচায় ৭ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান মালিঙ্গা। তিন ওভারে নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।
ইনিংসের শেষ দুই উইকেট নিয়েছেন টানা দুই বলে। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটিই মালিঙ্গার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। সবমিলিয়ে চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ে ১৩.৫ ওভারে ৮৩ রান খরচায় ১০ উইকেট শিকার করে বুধ-বৃহস্পতিবার সেরা ও আলোচিত তারকার নাম সেমারাপাদু লাসিথ মালিঙ্গাই।
মালিঙ্গার সাত উইকেটের ভিডিও:
এসএএস/এমকেএইচ