ওয়ার্নারের ব্যাটে হায়দরাবাদের রেকর্ড জয়
গত আসরে দুর্দান্ত বোলিং দিয়ে একের পর এক ম্যাচ জিতেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বল টেম্পারিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ থাকায় খেলতে পারেননি তখনকার দলের নিয়মিত অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। এক মৌসুম পর ফিরেছেন ওয়ার্নার।
কিন্তু এবার বোলিংটা আবার গতবারের মতো হচ্ছে না হায়দরাবাদের। তাতে কী? ব্যাট হাতে বোলিংয়ের ঘাটতিটা ঠিকই পুষিয়ে নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ওয়ার্নার। শুক্রবার রাতে চলতি আসরে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়ে হায়দরবাদকে রেকর্ড জয় এনে দিয়েছেন ওয়ার্নার।
বোলারদের ব্যর্থতার দিনে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৯৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান সাঞ্জু স্যামসন। জবাবে ৩৭ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ওয়ার্নার, যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন বাকিরা।
ফলে ৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে হায়দরাবাদ। এ নিয়ে ঘরের মাঠে রাজস্থানের বিপক্ষে টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতল তারা। এছাড়া মুখোমুখি পরিসংখ্যানটা নিজেদের পক্ষে ৬-৪ এ উন্নীত করলো হায়দরাবাদ।
রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১১০ রান যোগ করেন জনি বেয়ারস্টো এবং ডেভিড ওয়ার্নার। দলের রান যখন ৬০, তখন মাত্র ২৬ বলে আইপিএল ক্যারিয়ারে নিজের ৩৮তম ফিফটি তুলে নেন ওয়ার্নার।
ইনিংসের মাত্র ১০ম ওভারে দলীয় সংগ্রহকে ১০০ পার করে সাজঘরে ফেরেন ৯ চার ও ২ ছয়ে ৬৯ রানের ইনিংস খেলা ওয়ার্নার। পরের ওভারেই বেয়ারস্টো ২৮ বলে ৪৫ রান করে ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ।
ব্যর্থ হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১০ বলে ১৪) এবং মনিশ পান্ডে (৪ বলে ১)। তবে চার নম্বরে নেমে ১ চার ও ৩ ছয়ের মারে মাত্র ১৫ বলে ৩৫ রানের ঝড় তুলে দলের জয় সহজ করে দেন বিজয় শঙ্কর। শেষদিকে ইউসুফ পাঠান ১২ বলে ১৬ এবং রশিদ খান ৮ বলে ১৫ রান করে ১ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান দলকে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো ছিল না রাজস্থান রয়্যালসের। ২০ বলের উদ্বোধনী জুটিতে উঠে মাত্র ১৫ রান। ৫ রানেই জস বাটলারের মতো ভয়ংকর ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেন রশিদ খান।
তবে পরের সময়টা কেবল হতাশাতেই কেটেছে হায়দরাবাদের। দ্বিতীয় উইকেটে আজিঙ্কা রাহানে আর সঞ্জু স্যামসন গড়েন ১১৯ রানের জুটি। ৪৯ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাহানে।
তবে স্যামসনের ব্যাটিং তাণ্ডব চলেছে একদম শেষ পর্যন্ত। ৫৪ বলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাকে আউট করতে পারেননি হায়দরাবাদের বোলাররা।
৫৫ বলে ১০ চার আর ৪ ছক্কায় ১০২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেই মাঠ ছেড়েছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। আর শেষদিকে নেমে ৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ১৬ রান করেন বেন স্টোকস।
এসএএস/এমএস