‘প্রয়োজনে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ ফাইনালও ছেড়ে দেব’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৬ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৯

পুলওয়ামা হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। যার প্রভাব পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টেও ম্যাচ খেলতে নারাজ ভারত।

ভারত আইসিসির কাছে আবেদন করেছিল, আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই নিষিদ্ধ করতে। আইসিসি তাতে সাড়া দেয়নি। গ্রুপপর্বে দুই দল মুখোমুখি হবে। এখনও কথা চলছে, ওই ম্যাচটি ছেড়ে দিতে পারে ভারত।

যদিও তাতে ঝুঁকি থাকছে। এবারে টুর্নামেন্টের ফরমেটটা এমন, গ্রুপপর্বে দুই পয়েন্ট ছেড়ে দিলে সেমিফাইনালে উঠার পথও কঠিন হয়ে যেতে পারে ভারতের।

সেক্ষেত্রে ভারত ওমন ঝুঁকি নেবে কিনা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে দলটির সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর মনে করেন, শুধু গ্রুপপর্বে নয়, যদি পাকিস্তানের সঙ্গে ফাইনালেও খেলা পড়ে, তবু ভারতের উচিত ম্যাচটা ছেড়ে দেয়া।

পাকিস্তানের বিষয়ে মাঝামাঝি অবস্থানে থাকার কোনো সুযোগই দেখছেন না গম্ভীর। কন্ঠে তার কঠিন প্রতিবাদ, ‘শর্তসাপেক্ষে কোনো নিষেধাজ্ঞা হতে পারে না। হয় আপনি পাকিস্তানের সঙ্গে সবকিছু বন্ধ করেন, না হয় সব খুলে দিন। পুলওয়ামাতে যা ঘটেছে, তা নিঃসন্দেহে মেনে নেয়ার মতো নয়। আমি জানি আইসিসির টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে বয়কট করা কঠিন হবে ভারতের জন্য। তবে তারা এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা বন্ধ করতে পারে।’

২০০৩ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জিম্বাবুয়েতে রাউন্ড রবিন লিগ ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। যদি ভারতীয় বোর্ডও এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তবে সবাইকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানালেন গম্ভীর।

সাবেক এই ওপেনার বলেন, ‘দুই পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেশ গুরুত্বপূর্ণ, নিহত ৪০ সেনা একটি ক্রিকেট ম্যাচের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালেও (তাদের পেয়ে) যাই, তবেও ম্যাচ ছেড়ে দেয়ার প্রস্তুতি রাখা উচিত। সমাজের কেউ কেউ বলছেন, খেলার সঙ্গে রাজনীতি জড়ানো উচিত নয়। কিন্তু একটি ক্রিকেট খেলার চেয়ে জওয়ানরা অবশ্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।