রফিককে আর ‘একা’ থাকতে দিলেন না নবী

শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ
শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ , স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৯

প্রায় ২২ বছর আগে ১৯৯৭ সালে প্রথম ওয়ানডে জয়, ১৪ বছর আগে ২০০৫ সালে প্রথম টেস্ট জয় এবং ১৩ বছর আগে ২০০৬ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়- তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের প্রথম জয়েই একাদশে ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক।

এতদিন ধরে এই কীর্তিতে বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড়ই ছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এ স্পিনার। আজ প্রায় ১৩ বছর পর রফিকের সঙ্গী হলেন আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের ডানহাতি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী।

২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেই জিতেছিল আফগানিস্তান, পরের বছর নিজেদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে পেয়েছিল প্রথম জয় আর আজ আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে তারা পেল টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম জয়- এ তিন জয়েই আফগানিস্তান দলে ছিলেন মোহাম্মদ নবী।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ দল কেনিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পায় নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে জয়। সে ম্যাচে বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতেও ৭৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতেছিলেন রফিক।

এর ৮ বছর পরে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে ২২৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে প্রথম জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ৬৯ ও অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতেও প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রফিক।

পরের বছরই জিম্বাবুয়েকে ৪৩ রানে হারিয়ে নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয় পায় বাংলাদেশ। সেদিনও ব্যাট হাতে ৫ বলে ১৩ রানের ক্যামিও এবং বল হাতে ২২ রানে ১ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন রফিক।

বাংলাদেশি এ স্পিনার খেলা ছেড়ে দেয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব আফগানিস্তানের। ২০০৯ সালে নিজেদের প্রথম ওয়ানডেতেই স্কটল্যান্ডকে ৮৯ রানে হারায় তারা। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলে সেদিন ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নবী।

পরের বছর নিজেদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তারা প্রথম জয় পায় কানাডাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে। সেদিন বল হাতে ১ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ১২ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন নবী।

আর আজ প্রায় নয় বছর পর নিজেদের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম জয়ের দেখা পেল আয়ারল্যান্ড। এ ম্যাচে বল হাতে দুই ইনিংসে ৩ উইকেট এবং ব্যাট হাতে দুই ইনিংস মিলে ১ রান করেছেন নবী।

নিজ দেশের প্রথম টেস্ট জয়ে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে না পারলেও, তিন ফরম্যাটেই দেশের প্রথম জয়ের প্রত্যক্ষ সাক্ষী হওয়ার সৌভাগ্য ঠিকই হয়েছে মোহাম্মদ নাবীর। যা এতদিন ধরে ছিলো শুধুমাত্র বাংলাদেশ দলের কিংবদন্তীসম স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের।

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।