একাদশে জায়গা পেতে স্মিথ-ওয়ার্নারের জন্য পন্টিংয়ের শর্ত
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে মাত্র ৫টি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে নেই দুই সাবেক অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। কেননা তাদের নিষেধাজ্ঞাই উঠবে ২৯ মার্চ। ততদিনে শেষ হয়ে যাবে সিরিজের ৪টি ম্যাচ।
ফলে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার সুযোগ পেতে হলে সরাসরি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেতে হবে স্মিথ ও ওয়ার্নারের। যা কি-না আপাতদৃষ্টিতে খুব কঠিন কাজ নয় এ দুই ক্রিকেটারের জন্য। তবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ও বিশ্বকাপে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া রিকি পন্টিং তাদের দলে ফেরার কাজটি অত সহজ হতে দেবেন না।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী পন্টিং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের অন্যসব খেলোয়াড়দের মতো নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করলেই কেবল জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ পাবেন স্মিথ ও ওয়ার্নার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পন্টিং বলেন, ‘আমি মনে করি স্মিথ এবং ওয়ার্নারকে এখনো প্রমাণ করতে হবে যে তারা সেরা খেলোয়াড়, বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের ফল দেখার পর। লম্বা সময় ধরে শীর্ষ পর্যায়ে খেলছে না স্মিথ-ওয়ার্নার। যে কারণে আইপিএলটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ভালো খেলতে পারলে স্বাগতম, নতুবা তাদেরকে দলে ফেরাতে গেলে বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে চলেই আসবে।’
এদিকে গত দেড়-দুই বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে সেই বিধ্বংসী রূপে দেখা যাচ্ছে না। ২০১৮ সালে তারা ওয়ানডে জিতেছিল মাত্র ২টি। একসময়ের অজেয় অস্ট্রেলিয়ার দলের এমন অবস্থা হলে বিশ্বকাপে তারা কী করবে?
পন্টিংয়ের উত্তর, ‘দেখুন, আপনি ২০০৩ কিংবা ২০০৭ সালের অস্ট্রেলিয়ার কথা বললে আসলে সে দলটা এমন ছিলো যেটা প্রতি প্রজন্মে হয়তো একবার আসে। আমাদের এখন ১ থেকে ১১ পর্যন্ত ধরতে হবে যেটা হলো ওয়ার্নার, স্মিথ, খাজা, ফিঞ্চ, ম্যাক্সওয়েল, টার্নার, জাম্পা। স্টার্ক, কামিনস এবং হ্যাজলউড। এর সঙ্গে নাথান লিয়ন ব্যাকআপ স্পিনার হিসেবে থাকলে দলের গভীরতাও অনেক বৃদ্ধি পাবে।’
এসময় বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাবনার কথা জানাতে গিয়ে পন্টিং বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগেও অনেকে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপের জন্য ফেবারিট দাবী করেনি। হঠাৎ করে সব বদলে গেল। অস্ট্রেলিয়ার নামও এখন হিসেব করতে বাধ্য হচ্ছে সবাই। দলের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।’
এসএএস/এমকেএইচ