ছেলেকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মুশফিকের বাবা

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১০ এএম, ১৭ মার্চ ২০১৯

পাকিস্তানের ‘জলিল চাচা’ বলেও কেউ কেউ শুরুতে ভুল করে বসতে হয়তো। তবে তার আলাদা পরিচয় সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি। তিনি মুশফিকের গর্বিত বাবা মাহবুব হাবিব। বাংলাদেশের খেলা মানেই যেন মাঠে সরব উপস্থিতি এই গর্বিত বাবার।

মাঝে মাঝে দেখা যেতো বাংলাদেশ দলের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের ছেলে ছাড়াও কপালে চুমু খাচ্ছেন সাকিব, মিরাজদের। তিনি যে পরিণত হয়ে গিয়েছিলেন, পুরো টিম বাংলাদেশেরই একজন গর্বিত বাবা হিসেবে!

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ আল নুরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ছেলেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন মুশফিকের বাবা। তারওপর, নিজের ছেলের কান্নারত ভিডিও দেখতে হয়েছে তাকে। এমন কিছু দেখার পর কোনো বাবারই তো নিজেকে ঠিক রাখা কষ্টকর হয়ে যায়।

ক্রাইস্টচার্চ হামলার ঘটনার পর দ্রুততার সঙ্গেই দেশে ফিরে আসেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। আজ রাত ১০.৪২ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

Mushfiq

সেখানে তাদেরকে বরণ করতে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস এবং ক্রিকেটারদের পরিবার-পরিজনেরা। স্বাভাবিকভাবেই বিমানবন্দরে উপস্থিত হন মুশফিকুর রহীমের ক্রিকেট পাগল বাবা মাহবুব।

ছেলেকে কাছে পেয়ে এই বাবা আবেগে আপ্লুত হয়ে যান। হয়ে যান খুশিতে আত্মহারা। তার মত খুশি ওই সময় আর কোনো বাবা হয়েছেন কি না সন্দেহ। বিমান বন্দরেই মিডিয়ার মুখোমুখি হন মুশফিকের বাবা। সেখানে বেশ উচ্ছসিত দেখা যায় তাকে।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো এই দেশে, এখানে উচ্চস্বরে কথা বলছি। নিউজিল্যান্ডের মত দেশে কেউ উচ্চস্বরেও কথা বলে না। কেউ কাউকে থাপ্পড় দিয়েছে শুনলেও পত্রিকার নিউজ হয়ে যায়। সেখানে এত বড় ঘটনা! অবিশ্বাস্য!!’

মুশফিকের বাবা মাহবুব হাবিব বিসিবির কাছে দাবি করেন, ভবিষ্যতে যেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বিদেশে পাঠানোর সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে তারপর পাঠায়।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।