তিন ফিফটিতে ৩০১ তাড়া দোলেশ্বরের

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৯

প্রথম রাউন্ডে জিতেছিল দুই দলই। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের জয়টা ছিল ১ উইকেটের, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব।

দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে তাই খানিক হলেও এগিয়ে ছিল প্রাইম দোলেশ্বর। যার ছাপ পড়েছে মাঠের খেলাতেও। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংকের করা ৩০১ রানের লক্ষ্যটা ১০ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলেছে প্রাইম দোলেশ্বর।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে আল-আমিন জুনিয়র সেঞ্চুরি এবং সুদ্বীপ চ্যাটার্জি খেলেন অর্ধশত রানের ইনিংস। তাদের দলও পায় ৩০১ রানের বড় সংগ্রহ। কিন্তু দোলেশ্বরের পক্ষে সাঈফ হাসান, মার্শাল আইয়্যুব এবং সাদ নাসিমের তিন ফিফটির পাশাপাশি শেষদিকে ফরহাদ রেজা ঝড়ো ইনিংস খেললে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০ বল আগেই জয় পায় প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির রানার্স আপরা।

ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫২ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারায় প্রাইম ব্যাংক। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৪০ বলে ২৮ এবং রুবেল মিয়া করে ২৮ বলে ৪ রান। তৃতীয় উইকেটে ১১০ রানের জুটি গড়েন প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের মূল বিজ্ঞাপন হওয়া আল-আমিন ও সুদ্বীপ।

দলীয় ১৬২ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছয়ের মারে ৬৯ বলে ৫৭ রান করেন সুস্বীপ। তবে অন্যপ্রান্তে অবিচল থাকেন আল-আমিন। জাকির হাসানের সঙ্গে গড়েন ৭৯ বলে ৮৫ রানের জুটি। ইনিংসের ৪০তম ওভারে মাত্র ৯০ বলের নিজের লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন আল-আমিন।

৪৩তম ওভারের শেষ বলে ৩৪ বলে ৩৬ রান করে আউট হন জাকির। দুই ওভার পরে সাজঘরের পথ ধরেন ৪ চার ও ৪ ছক্কার মারে ৯৯ বলে ১১১ রান করা আল-আমিন। শেষদিকে আরিফুল হকের ২১ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ৩০১ রানের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক।

দোলেশ্বরের পক্ষ বল হাতে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। তিনিসহ আরাফাত সানি এবং সৈকত আলি নেন ২টি করে উইকেট।

৩০২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দোলেশ্বরের। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ১২ রানের মাথায় ফেরেন ওপেনার আব্দুল মজিদ। দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়ে সাজঘরের পথ ধরেন ২৮ বলে ২৪ রান করা ফরহাদ হোসেন।

তৃতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়েন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক তরুণ ওপেনার সাঈফ হাসান এবং মার্শাল আইয়্যুব। এ দুজনের ১১৫ রানের জুটিতেই মূলত জয়ের ভীতটা পেয়ে যায় দোলেশ্বর।

প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতে যাওয়ায় সেঞ্চুরি করা হয়নি সাঈফের। এ রাউন্ডে তিনি আউট হন ৮৫ রানে, আবারো বিদগ্ধ হন সেঞ্চুরি মিসের হতাশায়। তবে তিনি আউট হলেও দলকে জয়ের পথেই রাখেন মার্শাল এবং সাদ নাসিম।

ইনিংসের ৪৪তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৭ চারের মারে ৮২ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন মার্শাল। তখন দোলেশ্বরের সংগ্রহ ৪৩.৫ ওভারে ২৫৪ রান। শেষের ৩৭ বলে জিততে হলে করতে হতো ৪৮ রান। অধিনায়ক ফরহাদ রেজার টর্নেডো ইনিংসে যা মাত্র ২৭ বলেই করে ফেলে দোলেশ্বর।

পাকিস্তানি রিক্রুট সাদ নাসিমের সঙ্গে মাত্র ২৩ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন ফরহাদ রেজা। ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতা সাদ নাসিম ২ চার ও ৫ ছক্কার মারে ৪৭ বলে ৬৪ রান করে আউট হন। তবে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে মাত্র ১৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ।

টানা দ্বিতীয় জয়ে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্রাইম দোলেশ্বর। আগামী শুক্রবার এখনো পর্যন্ত অপরাজিত থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মাঠে নামবে তারা।

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।