সঙ্কটাপন্ন ঢাকার ক্রিকেটকে বাঁচানোর আহ্বান

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৯

এক সময় খুব জমজমাট ছিল ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট। আবাহনী-মোহামেডানে ভাগ হয়ে যেতো পুরো দেশ। যদিও সেটা ছিল ফুটবল নিয়ে; কিন্তু ক্রিকেটেও যে এই প্রভাব পড়তো না তা নয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণকেন্দ্রই হচ্ছে ঢাকা। যেখান থেকে চলতে চলতে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু দেশের ক্রিকেটের প্রাণকেন্দ্রের এখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। ক্রিকেটার উঠে আসার পথ ক্লাবের বিভিন্ন পর্যায়ের, যেমন প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ কিংবা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ- সবগুলোতে যে করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে তার আলোকে বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন (বিএসজেএ) আজ আয়োজন করেছে, ‘ঢাকার ক্রিকেটে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং: বাস্তবতা ও সমাধান’- শীর্ষক এক সেমিনারের।

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ বাংলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বিএসজেএর সহ-সভাপতি তারেক মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মোতাহের হোসেন মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান আল মুঘনি। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম।

এছাড়া এই অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এবং সিসিডিএম (ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, সাবেক বিসিবি পরিচালক এবং এক সময়ে সিসিডিএম চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, এক সময়ে আম্পায়ার্স কমিটির সেক্রেটারি, কোচ এবং জনপ্রিয় ক্রিকেট লিখিয়ে জালাল আহমেদ চৌধুরী, কলাবাগানের ক্রিকেট সেক্রেটারি ও বিসিবির কাউন্সিলর রিয়াজ আহমেদ বাবু, ইয়াং পেগাসাসের যুগ্ন সম্পাদক সৈয়দ আলী আসাফ, কালের কণ্ঠের ক্রীড়া সম্পাদক সাইদুজ্জামান।

সেমিনারের সমাপনী বক্তব্য দেন বিএসজেএর সহ-সভাপতি এবং জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজের বিশেষ সংবাদদাতা আরিফুর রহমান বাবু। তিনি তার বক্তব্যে ঢাকার ক্রিকেট বাঁচানোর বেশ কিছু উপায় তুলে ধরেন।

BSJA-1

ঢাকার ক্রিকেটের করুণ অবস্থার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেমিনারে উপস্থাপিত পর্যবেক্ষণে। বিএসজেএ’র সদস্য আরিফুল ইসলাম রনি পড়ে শোনান সেই পর্যবেক্ষণ। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট এক সময় ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণ। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, সেই প্রাণের এখন ‘যায় যায়’ অবস্থা! কিছু আত্মঘাতী পদক্ষেপ, বিসিবির ভোট ও কাউন্সিলরশিপের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে প্রভাব বিস্তারের থাবায় ঢাকায় ক্রিকেটের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগ এখন সঙ্কটাপন্ন।

এই সঙ্কটাপন্ন ক্রিকেটকেই বাঁচানোর আকুতি ফুটে উঠেছে বিএসজেএ কর্তৃক আয়োজিত এই সেমিনারে। ঢাকার ক্রিকেট না বাঁচলে এক সময় যে বাংলাদেশের ক্রিকেটও মরে যাবে! সেমিনারের মূল রচনায় সেটাই উঠে এসেছে বার বার। সেখানে বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের পাতানো ম্যাচ ও পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ক্ষত। ব্যাট-বলের কীর্তি নয়, গুটি কয়েক ক্লাব কর্মকর্তার পেশী শক্তিই এখানে আসল। অনিয়মই হয়ে উঠেছে নিয়ম আর অনিয়মগুলো হয়ে উঠেছে অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ক্লাব ক্রিকেটে সুবিধা পেতে বা দিতে আম্পায়ার, স্কোরার ও ম্যাচ রেফারিদের প্রভাবিত করা, খেলোয়াড়দের হুমকি ধামকি প্রদান, বিশেষ কিছু ক্লাবের ম্যাচে বিতর্কিত আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দায়িদ্ব দেয়া- এমন অভিযোগের শেষ নেই। অনিয়মই হয়ে উঠেছে নিয়ম কিংবা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই করা হয় অনিয়ম।

পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, পেশি শক্তিসম্পন্ন দলগুলোর বিপক্ষে পায়ের যে কোনো জায়গায় বল লাগলেই, এমনকি অনেক সময় শরীরের ওপরের দিকে বল লাগলেও ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউ দেয়া হচ্ছে। ব্যাটের ধারে-কাছে না লাগলেও কটবিহাইন্ড। ক্রিজে পৌঁছে গিয়েও ব্যাটসম্যান হয়ে যাচ্ছে রানআউট। আম্পায়ারদের অন্যায় সিদ্ধান্তে হতবাক ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছাড়তে চাচ্ছে না এমন ঘটনা দেখা গেছে প্রায় প্রতি ম্যাচে।

এসবের নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে খেলোয়াড়দের মধ্যে। অনেক আশায় বুকবেধে যে কিশোর-তরুণ ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসে, তারা ফিরে যায় বুক ভাঙা বেদনা নিয়ে। অনেকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেরাই হয়ে যাচ্ছে দূষিত ক্রিকেটের অংশ। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটের কি অবস্থা হবে? কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ক্রিকেট? দূষিত ক্রিকেটাররাই বা কি দিতে পারবে দেশকে?

BSJA-6

বিসিবি পরিচালক ও সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘যে অভিযোগগুলো উঠেছে সেগুলো অনেক আগে থেকেই উঠছে। আসলে সিসিডিএম হচ্ছে একটা জাদুঘর। আমি এখানে শুধুমাত্র কিউরেটর। একজন কিউরেটরের পক্ষে অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে আমরা অনেক কিছুই চেষ্টা করছি। কোনো বিতর্ক ছাড়া প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি শেষ করেছি। প্রিমিয়ার লিগের ফিকশ্চার করা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট ক্লাব নিয়ে অনেক অভিযোগ। এবার ফিকশ্চারে দেখেন তাদের প্রথম তিনটি খেলার একটিও বিকেএসপিতে নেই। আমরা খেলোয়াড়দের টাকা-পয়সা নিশ্চিত করেছি। টাকা-পয়সা বাড়িয়েছি।’

যে বিষয় নিয়ে সেমিনারের আয়োজন, সেই পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট বোর্ডের আম্পায়ার্স কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ার বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমি চেয়েছিলাম আম্পায়ার বরাদ্দের কমিটিতে সিসিডিএমের একজন প্রতিনিধি থাকুক। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। আশা করছি ভবিষ্যতে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এবং সেক্রেটারির সঙ্গে সমন্বয় করে সিসিডিএম কাজ করতে পারবে।’

তবে তিনি এটাও জানান, আম্পায়ারিংসহ নানা বিষয় নিয়ে যে সব অভিযোগ রয়েছে এগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এসব অনিয়ম সমূলে উৎপাটন করবেন।

এবারের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো লাইভ স্ট্রিমিং (সরাসরি সম্প্রচার) করারও চিন্তা আছে বলে জানান ইনাম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিএসজেএ’র আজকের সেমিনারে যতগুলো প্রস্তাব এসেছে, আমি এগুলো বোর্ডে সঙ্গে আলাপ করে যতগুলো সম্ভব বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশারাফ হোসেন লিপু তার বক্তব্যে বলেন, ‘আম্পায়ারদের ভুল আমাদের সময় ছিল- হিউম্যান এরর। কিন্তু এখন সেটা হয়ে গেছে ইচ্ছাকৃত। আমাদের খেলার সময়ও এমন আম্পায়ারিং হয়েছে; কিন্তু কোন মাত্রায় হয়েছে, সেটা দেখার প্রয়োজন।’

তার প্রশ্ন, ‘কার এত বড় সাহস হয় যে আম্পায়ারকে দিক নির্দেশনা দেয়? সেই শক্তিটা কোথায়? আমাদের বোর্ড সভাপতি অনেক ভালো কাজ করেছেন। আমার বিশ্বাস তিনি এদিকেও নজর দেবেন।’

লিপু মনে করেন, ঢাকার ক্রিকেট লিগের সব ধরণের ম্যাচে আকসুর উপস্থিতির প্রয়োজন। আম্পায়ারদের ওপর নজরদারি এবং ম্যাচে ক্যামেরা রাখার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।

বরেণ্য ক্রিকেট কোচ ও বিএসজেএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘যদি ঢাকার ক্লাবগুলো বিসিবির কাউন্সিলরশিপ পায় তাহলে কেন চট্টগ্রামের ক্লাবগুলো বিসিবির কাউন্সিলরশিপ পাবে না?’ তার আপত্তি, কেন বিসিবি শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক হবে? পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং রোধে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপহীন দক্ষ, স্বচ্ছ আম্পায়ারিংয়ে ব্যবস্থা করার পরামর্শ তার।

দৈনিক কালের কন্ঠের ক্রীড়া সম্পাদক সাইদুজ্জামানের অভিযোগ কর্মকর্তাদের ওপর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের আম্পায়াররা খারাপ নয়। এটার প্রমাণ সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি লিগ। এখানে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। কারণ তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে আম্পায়ারিং করতে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আম্পায়ারদের আর্থিক উন্নতি এবং পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি ঢাকা লিগের ম্যাচগুলোতে আম্পায়ার নিয়োগ আম্পায়ার্স কমিটিই দেয় কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

BSJA-2

কলাবাগানের ক্রিকেট সেক্রেটারি ও বিসিবির কাউন্সিলর রিয়াজ আহমেদ বাবুর অভিযোগ, ম্যাচ শেষে অধিনায়ক কিংবা ম্যানেজারের যে রিপোর্ট থাকে তা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সিসিডিএম পর্যন্ত পৌঁছায় না। আম্পায়ারদের দিকে আঙুল তুলে তার অভিযোগ, ‘আম্পায়াররা ‘পেইড’ আম্পায়ারিং করে থাকেন। এসব ‘দুষ্ট’ আম্পায়ারদের পেছনে বিসিবির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। একই আম্পায়ার বারবার একই দলের বিপক্ষে আম্পায়ারিং করছে। ফলে মাঠের ফলেও পরিবর্তন হচ্ছে না। পায়ে লাগলেই আউট, ওয়াইড হওয়া বলে কট বিহাইন্ড দিচ্ছে। কোনো কোনো আম্পায়াররা মাঠে নেমেই বলে দেন ১২টার ভেতর ম্যাচ শেষ করতে হবে।’

এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ক্লাব কর্মকর্তাদেরও মানসিকতা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তার মতে অনেক খেলোয়াড় থাকলেও ভালোমানের খেলোয়াড় পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ভবিষ্যতে ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ জাতীয় দল।

ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের চিত্র তুলে ধরেন ইয়াং পেগাসাসের যুগ্ন সম্পাদক সৈয়দ আলী আসাফ। তিনি বলেন, ‘আগের সময়গুলোতে ম্যাচের আগের দিন খেলোয়াড়েরা চিন্তা করত প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা নিয়ে, কীভাবে তাদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিততে হবে সে কৌশল হতো; কিন্তু এখন ম্যাচের আগে খেলোয়াড়রা চিন্তা করে, পরদিন মাঠের আম্পায়ার কারা থাকবেন।’ তার মতে, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং হয় যখন ক্লাব গুলোর অবনবন কিংবা উন্নতির সময় আসে।

সেমিনারের সমাপনী বক্তব্যে বিএসজেএর সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান বাবু বলেন, ‘ঢাকার ক্রিকেটের কালো দাগ লেগে গেছে। এটাকে অবশ্যই উজ্জ্বল করতে হবে। কারণ দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পাইপলাইনই হচ্ছে ঢাকার ক্রিকেট লিগগুলো। যদি এটা বিপর্যয়ে পড়ে যায়, ক্ষতিটা বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই বেশি হবে।’

সেমিনারে আলোচনার প্রেক্ষিতে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং বন্ধে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উঠে এসেছে। যেমন, দক্ষ আম্পায়ার নিয়োগ দেওয়া। সব ক্লাবকে বিসিবির কাউন্সিলরশিপ প্রদান। সব ক্লাবের সমান সংখ্যক কাউন্সিলর রাখা। আম্পায়ার বন্টনে সিসিডিএম এবং আম্পায়ার্স কমিটি স্বমন্বয় করে কাজ করবে।

প্রকৃত পেশাদার লোক দিয়ে টুর্নামেন্ট পরিচালনা করতে হবে। টিভিতে খেলা সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্লাবগুলো স্ব-উদ্যোগে খেলা ক্যামেরায় ধারণ করতে চাইলে সেটির অনুমতি দিতে হবে। বোর্ডের পরিচালক, কর্মকর্তাদের কাছের লোকেরা যেন বাড়তি সুবিধা না নিতে পারে, সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এছাড়া খেলোয়াড়দের দলবদলের নিয়মকানুন বারবার না বদলানোরও প্রস্তাবও এসেছে সেমিনারে।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।