দুর্নীতি করেননি, ক্রিকেটকে ভালোবেসে নিষিদ্ধ জয়সুরিয়া!
তিনি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের কিংবদন্তি। দেশের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপও। সনাথ জয়সুরিয়ার নামের পাশে আসলে ‘নিষিদ্ধ’ শব্দটা একদমই মানানসই নয়। সেটিও যদি আবার হয় দুর্নীতির জন্য, তবে তো ব্যাপারটা আরও লজ্জার। মঙ্গলবার দুই বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে লঙ্কান সাবেক এই অধিনায়ককে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে গত অক্টোবরেই জয়সুরিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে আইসিসি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক কমিটির প্রধানের বিরুদ্ধে আইসিসির অভিযোগ ছিল, তিনি দুর্নীতির তদন্তে সহযোগিতা করেননি, বরং তদন্ত বাধাগ্রস্ত করেছেন।
অভিযোগে জানানো হয়, শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক একটি সিম কার্ড লুকিয়ে ফেলেছেন। তদন্তের জন্য চাওয়া তার মোবাইল ফোনটিও দেরিতে জমা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে সম্ভবত দুর্নীতি সম্পর্কিত অনেক তথ্য ছিল।
জয়সুরিয়ার পরিচয় কিন্তু শুধু সাবেক ক্রিকেটার নয়। তিনি পুরোদুস্তোর একজন রাজনীতিবিদ। কাজ করছেন ক্রিকেট সংগঠক হিসেবেও। ছিলেন শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক। নামে ভারে এমন উচ্চতায় দাঁড়ানো একজন মানুষ দুর্নীতি করতে পারেন!
জয়সুরিয়া অবশ্য আইসিসির তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্থ করার ভুলটি স্বীকার করে নিয়েছেন, মেনে নিয়েছেন সাজাও। তবে পরে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, কোনো ধরণের দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না।
দুর্নীতি করেননি? তবে কেন সাজা মেনে নিলেন? জয়সুরিয়ার জবাব, ‘আমি প্রথমেই নিজের ভুল মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেননা এই ক্রিকেটের প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। এই খেলাটার অধিকতর ভালোর জন্য এবং ক্রিকেটের বিশুদ্ধতা রক্ষার্থে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জয়সুরিয়া আবারও বলছেন, তার সিম ও ফোনে ব্যক্তিগত কিছু জিনিস ছিল বলে আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিটির চাহিদা মোতাবেক সেগুলো সরবরাহ করতে পারেননি। কিন্তু কোনো ধরণের দুর্নীতি, ম্যাচ গড়াপেটা কিংবা ভেতরের কোনো তথ্য গোপন করার মতো কোনো কাজ তিনি করেননি।
লঙ্কান সাবেক অধিনায়কের ভাষ্যমতে, ‘আমি আবারও বলছি, আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার জুড়ে সবসময়ই সততার বিষয়টি মেনে চলেছি। আমি সর্বদা আমার দেশকে প্রাধান্য দিয়েছি। ক্রিকেটপ্রেমী মানুষজনই এটার বড় সাক্ষী।’
এমএমআর/জেআইএম