লাকি ছিলাম, হয়ে গেছে : রেকর্ড নিয়ে শুভাগত

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রেকর্ড কখনোই বলে-কয়ে আসে না। হঠাৎ হয়ে যায়। ক্রীড়াঙ্গনে এটাই চিরন্তন নিয়ম। সুতরাং, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১৬ বলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়াটাও নিজে পরিকল্পনা করে করেননি শাইনপুকুরের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শুভাগত হোম। কিন্তু সেটা হয়ে গেছে। ছাড়িয়ে গেলেন তিনি বাংলাদেশের এ যাবতকালের সব ব্যাটসম্যানকেই।

এমন রেকর্ডটা করার পর শুভাগত হোমের অনুভুতি কি? কিভাবেই বা এতটা বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছেন তিনি? এর রহস্য কি? মোহামেডানের বিপক্ষে শাইনপুকুরকে জিতিয়ে সেমিফাইনালে তোলার পর মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে শুভাগত জানালেন, লাকি ছিলাম, তাই হয়ে গেছে (রেকর্ড)।

শুভাগত হোম বলেন, ‘আসলে চেষ্টা করি প্রতি ম্যাচেই রান করতে। কাল (সোমবার) পরিস্থিতি ছিল এমন যে, প্রতি বলে বলেই বাউন্ডারি দরকার ছিল। ট্রাই করেছিলাম, লাকি ছিলাম হয়ে গেছে। ব্যাটে বলে ভালো লাগছিল।’

তাহলে রেকর্ড? এ ধরনের চিন্তা খেলার সময় কারো মাথায় যে থাকে না, সেটা আবারও জানিয়ে দিলেন শুভাগত। তিনি বলেন, ‘রেকর্ডের চিন্তা তো মাঠে খেলার সময় থাকে না। আজকেও (মঙ্গলবার) রান বাড়ানোর তাড়া ছিল। চার-পাঁচ ওভার ছিল বাকি। ট্রাই করছিলাম বড় শট খেলার। হয়ে গেছে।’

অনেকদিন জাতীয় দলে নেই। গত বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে দারুণ খেলার পরও ডাক পেলেন না। প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টিতে এসেও ভালো খেলছেন। নিজেকে প্রমাণ করার এখনও বাকি আছে? শুভাগত হোম ছোট্ট কথায় জবাব দিয়ে দিলেন, ‘নিজেকে সে রকম প্রমাণের কিছু নাই।’

শাইনপুকুর দল গঠনের সময়ই দেখিয়েছে, তারা মাঝারিমানের একটি দল। দলে বড় কোনো তারকা নেই। তবুও সবার আগে তারা সেমিফাইনালে। বিষয়টা কিভাবে দেখছেন শুভাগত? ‘গত বছরও আমাদের দলে সে রকম বড় নাম ছিল না; কিন্তু টিম কম্বিনেশন ভাল ছিল। নতুন অনেক তরুণ আছে, সাব্বির তারপর সুজন কঠোর পরিশ্রমী সবাই। সে হিসেবে বলতে গেলে, দল হিসেবে ভাল করতে পারছি।’

লিগ শুরু হতে না হতেই দেশে ফিরে আসবেন সৌম্য সরকার এবং মোস্তাফিজুর রহমানরা। কিন্তু তারা যদি না থাকে, তাহলে দলের কি অবস্থা হবে? শুভাগত বলেন, ‘দলে কে থাকবে, সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। আমরা চেষ্টা করব এই স্কোয়াড নিয়েই ভাল করার।’

নিজের ব্যাটিংয়ে কি পরিবর্তন এনেছেন শুভাগত, যে কারণে এমন সাফল্য পাচ্ছেন? কম কথায় জানিয়ে দিলেন সে রহস্য, ‘আগে একটু নড়াচড়া করে খেলতাম। এখন একটু স্টেবল হয়ে খেলতে, ভারসাম্য রেখের খেলার চেষ্টা করি।’

শেষ মুহূর্তে এসে দারুণ মারকুটে খেলা খেলছে শাইনপুকুর। কি গেম প্ল্যান নিয়ে তারা মাঠে নামে? জানতে চাইলে শুভাগত হোম বলেন, ‘এই সিচুয়েশনে গেল প্ল্যানিংইয়ের কিছু থাকে না। চার ওভার বাকি, একটাই থাকে যে মারতে হবে।’

এআরবি/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।