মিরপুরে ঝড় তুলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড শুভাগতর

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এ যেনো এক অন্যরকম শুভাগত হোম! ঘরোয়া ক্রিকেটে সবসময়ই সেরা পারফর্মারদের একজন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার তিনি; কিন্তু তিনিও যে খেলতে পারেন টর্নেডো ইনিংস, তার নতুন সব দৃষ্টান্ত যেনো সৃষ্টি করে চলেছেন এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

সর্বশেষ বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচে ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শুভাগত হোম। সে ধারাবাহিকতা বজায় ছিলো প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনি ম্যাচেও। মাত্র ১০ বলে খেলেছিলেন ৩২ রানের ইনিংস। যে ইনিংসে ম্লান হয়েছিল শাহরিয়ার নাফীসের ঝড়।

আর দ্বিতীয় ম্যাচে ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেই। শুধু নিজেকে বললে ভুল হবে, ছাড়িয়ে যান বাংলাদেশের সবাইকেই। গড়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছেন ১৮ বলে ৫৮ রানের ঝড়ো ইনিংস।

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (মঙ্গলবার) টস জিতে ব্যাট করতে নামা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১৬তম ওভারে যখন ক্রিজে নামেন শুভাগত, তখন দলের রান ৪ উইকেটে ১০৯, বল বাকি মাত্র ২৮টি।

এই ২৮ বল থেকে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮৩ রান যোগ করেন শুভাগত হোম এবং তৌহিদ হৃদয়। যেখানে মাত্র ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় ৫৮ রানই আসে শুভাগতর ব্যাট থেকে। অপরাজিত এ ইনিংস খেলার পথে মাত্র ১৬ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন তিনি।

যা কি-না যেকোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এর আগের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা ছিল মুমিনুল হকের দখলে। ২০১৩ সালে মিরপুরের শেরে বাংলায় বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিপক্ষে ১৯ বলে পঞ্চাশ করেছিলেন বাঁ-হাতি এ ব্যাটসম্যান। 

আজ মোহামেডানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই বল থেকে কেবল ১ রান নিতে সক্ষম হন শুভাগত। বাউন্ডারি মারেন নিজের মুখোমুখি তৃতীয় বলে। ১৬ ওভার শেষে শাইনুপুকুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১১৫, শুভাগতর রান তখন ৩ বলে ৫।

এরপরই মূলতঃ শুরু হয় তার আসল তাণ্ডব। আলাউদ্দিন বাবুর করা ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে ছক্কা-চার মেরে সে ওভার থেকে ১৫ রান নেন শুভাগত। পরের ওভারে কাজী অনিককে ৩ ছক্কা মেরে নেন ২১ রান, নিজে পৌঁছে যান ১১ বলে ৩৭ রানে।

১৯তম ওভারে ফের বল হাতে আসেন আলাউদ্দিন বাবু। এবার ২টি ছক্কা ও ১টি চারে মোট ২০ রান তোলেন অপর প্রান্তে থাকা তৌহিদ হৃদয়। তখনো বাকি ছিলো শেষ ওভারের তান্ডব। কাজী অনিকের করা শেষ ওভারটির পুরোটা খেলে ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন শুভাগত। পূরণ করেন নিজের ফিফটি। দলীয় সংগ্রহকে নিয়ে যান ৪ উইকেটে ১৯২ রানে।

শুভাগত ১৮ বলে ৫৮ এবং তৌহিদ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৪টি করে বাউন্ডারি-ছক্কার মারে ৪১ বলে ৬৬ রান করে। কাজী অনিক ৪ ওভারে খরচ করেন ৬২ রান, আলাউদ্দিন বাবুর ৪ ওভারে আসে ৪৫ রান। দুজনই নেন ১টি করে উইকেট।

এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।