ইতিহাস গড়ে বিশ্বাসই হচ্ছে না শ্রীলঙ্কার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে গিয়ে সেখান থেকে টেস্ট সিরিজ জয়ে করে আসার কীর্তি কেবল ছিল এতদিন অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডেরই। এবার প্রথম এশিয়ান দেশ হিসেবে এই কীর্তিটাই গড়লো শ্রীলঙ্কা। অথচ, এর আগে লঙ্কানদের কত শক্তিশালী দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে এসেছিল। কেউ আঁচড় কাটতে পারেনি প্রোটিয়াদের গায়ে। অথচ, এবার দুর্বল একটি দল নিয়েই কি না দক্ষিণ আফ্রিকা জয় করে ফিরে এলো দিমুথ করুনারত্নের দল।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুটি বড় পরাজয়ের পর দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমালকে। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আপাতত অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় দিমুথ করুনারত্নেকে। প্রথমবারেরমত দলকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে এমন ইতিহাস গড়ে ফেলবেন, তা কি কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করেছিলেন তিনি? স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করার পর সেই অনুভুতির কথাই জানাচ্ছেন করুনারত্নে।

স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তারা স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতবেন। শুধু তাই নয়, রীতিমত হোয়াইটওয়াশ করে! কোনো আশা-ভরসাই ছিল না লঙ্কানদের। বরং, সফর শুরুর আগে থেকেই লঙ্কানরা প্রমাদ গুনতে শুরু করে, কত কম ব্যবধানে হারা যায়। কতটা সম্মান নিয়ে তারা ফিরে আসতে পারেন!

কিন্তু ডারবানে অবিশ্বাস্যভাবে ১ উইকেটে জয়ের পর পোর্ট এলিজাবেথেও স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অবিশ্বাস্য এমন জয়ের পর রীতিমত উল্লাসে ফেটে পড়ারই কথা লঙ্কানদের। কারণ, সব সমীকরণকেই যে ব্যর্থ করে দিয়ে জয় অর্জন করেছে শ্রীলঙ্কা?

দিনেশ চান্দিমালের মত অবস্থা হওয়ার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বলতে গেলে, তার ঘাড়ের ওপরই তলোয়ার ঝুলছিল। শুধু তাই নয়, একাদিক মূল খেলোয়াড় পড়েছিলেন ইনজুরিতে। যে কারণে এই সিরিজে খেলতে পারেনি তারা।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-০ ব্যবধানে হারানে চাট্টিখানি কথা নয়। এখানে আমরা যখন এসেছিলাম, তখন ছিলাম আন্ডারডগ। তবে আগের সফর থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। সেই শিক্ষাটাই এই কন্ডিশনে খেলোয়াড়রা দারুণভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে। এ কারণেই আমাদের আজকের এই অবস্থান। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটা বিরাট অর্জন।’

এই জয়টা কত বড়? জানতে চাইলে করুনারত্নে স্বীকার করেন, এটা অনেক বড় অর্জন। সর্বক্ষেত্রেই আমরা ইতিবাচক ছিলাম এবং নিজেদের আশা-আকাংখাকে ড্রেসিংরুমে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছি। তবে আমরা এ ধরনের অর্জন কখনো কল্পনাই করিনি। তবে যখন জিততে শুরু করলাম, তখন থেকে বিশ্বাসটাও জন্ম নিলো। তখন থেকে আমরা প্রতিযোগিতা শুরু করলাম এবং চূড়ান্ত বিজয়টা অর্জন করে নিলাম।’

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।