দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিল শ্রীলঙ্কা
নিয়মিত অধিনায়ক নেই দলের সঙ্গে, স্কোয়াডে নতুন একগাদা। শোনা যায় ড্রেসিংরুমের অন্তর্কোন্দলের কথাও। কিন্তু সেসবের ছাপ খেলার মাঠে পড়তে দিচ্ছে না চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল শ্রীলঙ্কা। নিজেদের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার তাদের মাটিতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছে লঙ্কান ক্রিকেট দল।
ডারবানের কিংসমিডে কুশল পেরেরার বীরত্বে রেকর্ড গড়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতা শ্রীলঙ্কা, পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্কে দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতল হেসেখেলে। মাত্র তিনদিনের মধ্যেই, আট উইকেটের বড় ব্যবধানে। স্বাগতিকদের দেয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে লঙ্কানদের খেলতে হয়েছে মাত্র ৫১ ওভার, উইকেট হারিয়েছে ২টি।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বিশ্ব ফার্নান্দো এবং কাসুন রাজিথার বোলিং তোপের বিপক্ষে কুইন্টন ডি কক প্রতিরোধ গড়লেও ২২২ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকানরা। জবাবে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় মাত্র ১৫৪ রানে। কাগিসো রাবাদা ৪ ও ডুয়াইন অলিভার নেন ৩টি উইকেট।
৬৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে প্রোটিয়ারা একটা সময় ছিল বড় লিডের পথে। ৩ উইকেটেই তারা তুলে ফেলেছিল ৯০ রান। সেখান থেকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে লঙ্কানরা। স্বাগতিকদের শেষ ৭ উইকেট তারা তুলে নেয় মাত্র ৩৮ রানে।
১২৮ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। লঙ্কান বোলারদের তোপ সামলে একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। কিন্তু পাঁচ নাম্বারে নামা প্রোটিয়া অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থেকে যান, ৫০ রানে। পরের ব্যাটসম্যানরা কেউ দশও করতে পারেননি। ডু প্লেসিস ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে বলার মতো প্রতিরোধ গড়তে পেরেছেন কেবল হাশিম আমলা। তিন নাম্বারে নেমে তিনি করেন ৩২ রান।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সবচেয়ে সফল পেসার সুরাঙ্গা লাকমল, ৩৯ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন তিনি। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৩টি আর কাসুন রাজিথা নেন ২টি উইকেট। লঙ্কানদের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৭ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্ব দেখাতে মাত্র ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি লঙ্কানদের। ৩৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনার হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ১৯ আর লাহিরু থিরিমান্নে সাজঘরে ফেরেন ১০ রান করে।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের জয় নিশ্চিত করেন ওশাদা ফার্নান্দো এবং কুশাল মেন্ডিস। দুজন মিলে যোগ করেন অবিচ্ছিন ১৬৩ রান। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ওশাদা ফার্নান্দো। অগ্রজ কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ৮৪ রান। প্রায় আড়াই দিনেই ম্যাচ জিতে সিরিজও নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা।
এসএএস/এমকেএইচ