কাশ্মীর হামলা : আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আগামী আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বাদশ আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করে ওই অনুষ্ঠান আয়োজনের অর্থ সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারের মধ্যে বন্টন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। শুক্রবার বিসিসিআইয়ের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (সিওএ) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

দিল্লিতে শুক্রবার বৈঠকের পর সিওএ প্রধান বিনোদ রাই বলেন, ‘আমরা এ বছর আইপিএলের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের অর্থ দিয়ে পুলওয়ামায় নিহতদের পরিবারদের দেওয়া হবে।’ এবারের আইপিএল শুরু হবে ২৩ মার্চ। চেন্নাইয়ে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস ও বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মানেই বলিউডের গ্ল্যামারের ছড়াছড়ি। বলিউডের নায়ক-নায়িকা এবং গায়ক-গায়িকাদের অসাধারণ প্রদর্শনী দিয়েই শুরু হয় আইপিএলের জমজমাট লড়াই। কিন্তু পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সিআরপিএফ সদস্যদের সম্মানে আইপিএলের সেই বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।

শুক্রবার বিসিসিআইয়ের বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিনোদ খান্না প্রস্তাব করেন, আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করে এর অর্থ নিহতদের পরিবারের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার জন্য। বিনোদ খান্না বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে, সিওএ আমার প্রস্তাব গ্রহণ করে নিয়েছে এবং আইপিএল উদ্বোধনের অর্থ নিহতদের পরিবারের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

২০১৮ আইপিএল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট ছিল ১৫ কোটিরও বেশি রুপি। বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রায় সমপরিমাণ অর্থই এবার ভাগ করে দেয়া হবে নিহত জওয়ানদের পরিবারের মধ্যে।

পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওপর চাপ বাড়তে শুরু করে, আগামী বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ বয়কট করার। কিন্তু বিশ্বকাপে ম্যাচ বয়কট করলে আইসিসি’র শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে, একথা মাথায় রেখে তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার পথে হাঁটছে না বিসিসিআই। শুক্রবার সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিওএ প্রধান। যদিও এই বৈঠকে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ বয়কটের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ভারতীয় বোর্ড। সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সিওএ প্রধান।

বৈঠকের পর বিনোদ রাই জানান, আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলছি; কিন্তু ১৬ জুন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আমরা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।’ তবে আইসিসিকে যে বিসিসিআই চিঠি দিচ্ছে, তা পরিষ্কার করে দেন সিওএ প্রধান। বিনোদ রাই আরও বলেন, ‘আমরা দু’টি বিষয় আইসিসিকে জানাব। প্রথমত বিশ্বকাপের সময় ক্রিকেটারদের আরও বেশি নিরাপত্তা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, সন্ত্রাসীদের মদত দেয়া কোনও দেশের সঙ্গে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক যাতে না রাখা হয়।’

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।