শাইনপুকুরে নয়, সৌম্য সরকারের শেষ ঠিকানা আবাহনী!

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বাইলজ বা নিয়ম নীতি যাই বলা হোক না কেন, আগেভাগেই ঠিক করা আছে- প্লেয়ার্স ড্রাফটে দলবদলের পরও কোন দল চাইলে আপোষ রফায় অন্য দলে নাম লেখানো আরও দুজন ক্রিকেটারকে নিতে পারবে।

ঐ নিয়মে আগের বার প্লেয়ার্স ড্রাফটে শাইনপুকুরে নাম উঠলেও পরে আপোষ রফায় আবাহনী লিমিটেডে যোগদান করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা আর এনামুল হক বিজয়।

এবারো সেই ধারা বজায় থাকছে। আবাহনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, এবার সেই নিয়মে একাধিক ক্রিকেটারকে দলে ভেড়াচ্ছে ক্লাবটি। প্লেয়ার্স ড্রাফটে শাইনপুকুরে নাম লিখানো জাতীয় দলের হার্ডহিটিং টপ অর্ডার সৌম্য সরকার শেষ পর্যন্ত আপোষ রফায় আবাহনীতে যোগ দিবেন। এবং এবারের প্রিমিয়ার লিগে সৌম্যকে আবাহনীর হয়ে খেলতে দেখা যাবে।

প্লেয়ার্স ড্রাফটে যাদের শাইনপুকুর নিয়েছিল, সেই মাশরাফি আর এনামুল হক বিজয় আকাশি জার্সি গায়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করায় রেখেছিলেন অগ্রণী ভূমিকা।

সেবার ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিকের দূর্লভ কৃতিত্বের অধিকারী হবার পাশাপাশি মাশরাফি বিন মর্তুজা সর্বাধিক উইকেট শিকারি হয়েছিলেন। আর এনামুল হক বিজয় রান তোলায় হয়েছিলেন দ্বিতীয়।

এবার সেই নিয়মে একই স্বত্বাধিকারির (আবাহনী লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের সহযোগি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান শাইনপুকুর) দল শাইনপুকুর থেকে আবাহনী সৌম্যকে নিয়ে নিবে।

এবং যতদূর জানা গেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডে খেলে দেশে ফিরে প্রিমিয়ার লিগের শুরু থেকেই মাঠে নামবেন সৌম্য। সৌম্যর পাশাপাশি প্লেয়ার্স ড্রাফটে শাইনপুকুরের হওয়া বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজের দিকেও নজর আছে আবাহনীর। তবে একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত সৌম্যকেই শুধু আবাহনীতে দেখা যাবে।

পেসারদের মধ্যে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি ছাড়াও জাতীয় দলের অপর দুই পেসার রুবেল হোসেন ও সাইফউদ্দীনও এবার আবাহনীতে। তাই আর বাড়তি পেসারের দিকে ঝোকার সম্ভাবনা কম। আর মোস্তাফিজ যেহেতু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পাশাপাশি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজও খেলবেন, তাই তার পক্ষে পুরো লিগ এমনিতেও খেলা সম্ভব হবে না।

টেস্ট সিরিজ শেষে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার পরও জাতীয় দলের কোচ এবং ফিজিওর পরামর্শে অন্তত ১০ দিনের বিশ্রামে থাকতে হবে কাটার মাস্টারকে। ২০ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হবার কথা টাইগারদের (যদি খেলা ৫ দিনে গড়ায়)। তাহলে তার দু একদিন পর দেশে ফিরলেও মার্চে আর মাঠে ফেরা হবে না মোস্তাফিজের। ততদিনে প্রিমিয়ার লিগের অন্তত ৭ টি ম্যাচ হয়ে যাবে। তাই হয়ত আবাহনী তার ব্যাপারে তুলনামূলক কম উৎসাহী।

তারপরও শেষ মুহূর্তে কি হয়, বলা যাচ্ছে না এখনই।

এআরবি/এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।