কাশ্মীরে হামলা : ভারতে বন্ধ পিএসএল সম্প্রচার
গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে আত্মঘাতী হামলার জের ধরে প্রতিবাদের আগুনে ফুঁসছে গোটা ভারত। বাদ যায়নি ভারতের ক্রীড়াঙ্গনও। সে ধারাবাহিকতায় নিহত সেনা সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আরব আমিরাতে চলমান পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) খেলা সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় টিভি সম্প্রচারকারীরা।
রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ভারতীয় সম্প্রচারকারী সংস্থা ‘আইএমজি রিলায়েন্সে’র কাছে চলতি পিএসএলের টিভি সম্প্রচার স্বত্ব। কিন্তু সিআরপির কনভয়ে আত্মঘাতী হামলার জের ধরে আইএমজি তাদের চুক্তি বাতিল করেছে। যে কারণে বিপাকে পড়েছে পিএসএল আয়োজক কমিটি।
নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকায় পিএসএলের প্রায় সব ম্যাচ হচ্ছে আরব আমিরাতে, শেষের ৭টি ম্যাচ হবে পাকিস্তানের লাহোর এবং করাচিতে। দুই পর্বের ম্যাচগুলোই সম্প্রচারের দায়িত্বে ছিলো আইএমজি রিলায়েন্স। তারা পিএসএল বয়কট করে সরে যাওয়ায় নতুন সম্প্রচারকারী সংস্থা খুঁজছে পিসিবি। দুই-একদিনের মধ্যেই তা পেয়ে যাওয়ার আশা করছে তারা।
আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে পিসিবির নির্বাহী পরিচালক ওয়াসিম খান বলেন, ‘পিসিবি সবসময়ই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে খুব শীঘ্রই আমরা নতুন টিভি সম্প্রচারকারী পেয়ে যাবো।’
এসময় আইএমজি রিলায়েন্সের কাজকে হিংসাপরায়ণ এবং খেলার মধ্যে বাইরের ঘটনার মিশ্রণ হিসেবে উল্লেখ করে ওয়াসিম বলেন, ‘পিসিবি ঘটনার প্রবাহ খেয়াল রাখছে। এটা সত্যিই হতাশাজনক। আমরা সবসময় বিশ্বাস করেছি এবং রাজনীতির সঙ্গে খেলাধুলার মিশ্রণ না ঘটানোর ব্যাপারেই জোর দিয়েছি।’
তবে আইএমজি রিলায়েন্সের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থাও নেবে পিসিবি। এ ব্যাপারে চলতি মাসের শেষদিকে দুবাইতে হতে যাওয়া আইসিসির সভায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান পিসিবি নির্বাহী পরিচালক।
এদিকে শুধু আইএমজি রিলায়েন্স নয় ভারত ভিত্তিক অনলাইন ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকবাজ ডট কমও তাদের ওয়েবসাইট থেকে পিএসএলের সকল খবরাখবর সরিয়ে নিয়েছে। এমনকি ফ্যান্টাসী ক্রিকেটের ওয়েবসাইট ফ্যানসপোল ডট কমেও বয়কট করা হয়েছে চলতি পিএসএল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরায় সিআরপির কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদের সদস্যরা। হামলায় নিহত হন ৪০ জওয়ান। আহত হয়েছেন আরো ৪১ জন। হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ।
এসএএস/এমকেএইচ