কাশ্মীরে হামলা : বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিলের দাবি
কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের হামলার জের ধরে ক্ষোভে ফুসছে ভারতের ক্রীড়াঙ্গন। বাদ যায়নি ক্রিকেটার, সংগঠক, ভক্ত-সমর্থকরাও। ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই শোক প্রকাশ করেছেন শচিন টেন্ডুলকার থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি পর্যন্ত প্রায় সব ক্রিকেটাররা।
কিন্তু ভক্ত-সমর্থক ও সংগঠকরা শুধু শোকপ্রকাশ করেই থামছেন না। তাদের দাবী আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ খেলবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। এরই মধ্যে মুম্বাইয়ের রক্রিকেট ক্লাব ইন্ডিয়া’র (সিসিআই) সম্পাদক সুরেশ ভাফনা ভারতের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা বিসিসিআইয়ের নিকট দাবী করেছেন বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তানের ম্যাচটি বাতিল করার।
ইংল্যান্ডে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগের পর্বে আগামী ১৬ জুন ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার কথা রয়েছে ভারতের। কিন্তু কাশ্মীরে হামলার ব্যাপারে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান নীরব ভূমিকা পালন করায় বিশ্বকাপে তাদের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলার দাবী তুলেছেন বাফনা।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খানকে পরোক্ষভাবে কাশ্মীর হামলার জন্য দায়ী করেন তিনি। হামলায় নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং আমাদের নিহত সেনা সদস্যদের প্রতি রয়েছে আমাদের পূর্ণ সম্মান। যদিও সিসিআই একটি ক্রীড়া সংগঠন, তবুও খেলাধুলার আগে নিশ্চয়ই দেশের অবস্থান।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় অতি অবশ্যই ইমরান খানের প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিৎ। সে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এবং যদি সে বিশ্বাস করে যে এই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের কোনো হাত নেই তাহলে অবশ্যই তাকে সামনে এসে বলতে হবে। জনগণের সত্য জানার অধিকার রয়েছে। সে সামনে আসছে না তার মানে কালিমা তার মধ্যেও রয়েছে।’
এদিকে সন্ত্রাসী হামলার পরপরই মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামের হেডকোয়ার্টারে থাকা ইমরান খানের প্রতিকৃতি সরিয়ে নিয়েছে সিসিআই। বাফনা জানান তারা এ কাজটি করেছেন মূলত নিহতদের প্রতি শোকপ্রকাশের অংশ হিসেবেই।
এ ব্যাপারে সিসিআই সচিব বলেন, ‘হামলার পরদিন সকালেই আমরা জরুরী আলোচনায় বসেছিলাম। তখনই হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যেই প্রতিকৃতিটি ঢেকে দেয়া হয়। আমরা খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেবো কীভাবে এটি স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেয়া যায়।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরায় সিআরপির কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদের সদস্যরা। হামলায় নিহত হন ৪০ জওয়ান। আহত হয়েছেন আরো ৪১ জন। হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ।
এসএএস/পিআর