ভারতের ক্ষোভ বাংলাদেশের ওপর মেটাচ্ছেন গাপটিল!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২৯ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ছিলেন ইনজুরিতে, খেলতে পারেননি ভারতের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ফিরলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে, করলেন রাজকীয় প্রত্যাবর্তন। বলা চলে টাইগারদের একা হাতেই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল।

প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ১১৭ রান করার পরে দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলেছেন ১১৮ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। অথচ ইনজুরিতে পড়ার আগে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে চার ম্যাচে তিনি করেছিলেন সাকুল্যে ৪৭ (৫+১৫+১৪+১৩) রান। তিনি রান পাননি ভারতের আগে হওয়ার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেও।

সেই গাপটিলই ইনজুরির পাওয়া বিশ্রাম শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে আবির্ভূত হলেন যম হিসেবে। সিরিজের দুই ম্যাচেই করে ফেলেছেন ২৩৫ রান। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে গাপটিল অকপটে মেনে নিয়েছেন ভারতের বিপক্ষে সিরিজে অফফর্মে থাকাটা অনেক চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল তাকে। যে কারণে বিশ্বকাপের আগে নিজের প্রস্তুতি ভালোভাবে সেরে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে রানে ফিরতে উন্মুখ ছিলেন তিনি।

আর টাইগারদের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে নিজের সেরা সময়ের আভাসই পেয়ে গিয়েছেন গাপটিল। বছর চারেক আগে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রায় ৭০ (৬৮.৩৭) গড়ে ৫৪৭ রান করে হয়েছিলেন আসরের সর্বোচ্চ রানদাতা। পরের সময়টাও কাটিয়েছেন দুর্দান্ত।

শনিবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সে কথা মনে করে গাপটিল বলেন, ‘আজ (শনিবার) আমার মনে হলো যেন আমি কয়েক বছর আগে ফিরে গিয়েছি। খুব ভালো লাগছিল। আশা করছি এখান থেকে নিজেকে আরও সামনে নিয়ে যেতে পারবো।’

এসময় তিনি আরও জানান দুঃস্মৃতিময় ভারত সিরিজের দুঃখ-ক্ষোভ ভুলতে ইনজুরির সময়টায় নিজের ব্যাটিং নিয়ে পরিশ্রম করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বেশ হতাশ হয়েছিলাম। তাই খানিক সময় নিয়ে আমি আমার ব্যাটিংয়ের ফুটেজ দেখেছি এবং কিছু জিনিস খেলা করেছি যেগুলো নিয়ে কাজ করা উচিৎ মনে হয়েছে। সেগুলো নিয়ে যথাযথ করেছি। বসে থাকার সময়টা কাজে লাগিয়েছি। এখনো পর্যন্ত সেটাই আমাকে সাহায্য করছে।’

এসএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।