২৭০-২৮০ হলে লড়াই করতে পারতাম : মাশরাফি
আবারও একই পরিণতি, আবারও একই কথা- বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষে এর চেয়ে ভিন্ন কোনো কথা হয়তো বলারও নেই। তবুও অধিনায়ক হিসেবে দাঁড়াতে হয় মাইক্রোফোনের সামনে। কথা বলতে হয়। কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়।
নেপিয়ারে পরাজয়ের পর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা দুটি কারণকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা এবং কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে না পারা। তিনি মতামত দিয়েছিলেন, ‘অন্তত এক সপ্তাহ এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার প্রয়োজন ছিল আমাদের।’
কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচের আগে তো তিনদিন সময় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এ সময়ের মধ্যে কি কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি? কিংবা প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুন যেভাবে খেলেছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলেছেন ঠিক সেভাবে। তাহলে অন্যদের কি সমস্যা?
ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েই কথা বলতে হলো। কারণ, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে লড়াইটা গড়ে তুলতে পারেনি টাইগাররা।
শুরুতেই মাশরাফি জানিয়ে দিলেন, ‘এটা ছিল আমাদের জন্য কঠিন একটি দিন। আমরা শুরুতেই খুব দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের জুটিগুলো ৩০ রানের মধ্যে থমকে গেছে। যেগুলো হওয়া উচিৎ ছিল কমপক্ষে ৬০ রানের। তাহলে ম্যাচটা ভিন্নরকম হতে পারতো। আমাদের টপ অর্ডার নিজেদের টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।’
মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাটিং এবং মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ের প্রশংসা ঝরে পড়লো মাশরাফির কণ্ঠ থেকে। তিনি বলেন, ‘মিঠুন ভালো রান করেছে। মোস্তাফিজের বোলিংটাও ভালো ছিল। এছাড়া এই ম্যাচ থেকে আসলে আমাদের জন্য ইতিবাচক কিছুই নেই। আমাদেরকে একটা দল হিসেবে খেলতে হবে। ২২০ থেকে ২৩০ রান করতে পেরেছি আমরা। তবে এটা প্রয়োজন ২৭০ থেকৈ ২৮০ রানের। তাহলে অন্তত লড়াই করতে পারতাম আমরা।’
আইএইচএস/এমএস