ভক্তকে ডেকে তার সঙ্গে ছবি তুললেন সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মাঠের সাকিব আল হাসানকে নিয়ে অভিযোগ নেই কারও। মাঠে তিনি একশভাগেরও বেশি দিয়ে লড়েন। কিন্তু ব্যক্তি সাকিবের কথা উঠলে অনেক সমর্থকও দোষ বলে ফেলেন। সাকিবকে হয়তো সামনা সামনি দেখেনওনি, কিন্তু বলে ফেললেন-সাকিব তো অহংকারী, দাম্ভিক। সঙ্গে কেউ কেউ আবার যোগ করে দেন-বেয়াদব!

আমরা ক্রিকেট পাগল জাতি। হয়তো অনেক সময় আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে ফেলি সব কিছুর উপরে। যেই মাশরাফি বিন মর্তুজার এত জনপ্রিয়তা, সেই মাশরাফিকে নিয়েও কদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, এক ভক্ত মাশরাফির হাতে ধরলে তিনি সেটা সরিয়ে দেন, যদিও ছবি তুলতে 'না' বলেননি।

তারপরও ওই ভিডিও দেখার পর অনেকেই সমালোচনাও মেতেছেন। কেউ হয়তো একবার চিন্তা করেও দেখেন না, খেলোয়াড়রাও মানুষ, তাদেরও ব্যক্তিজীবন আছে। আমাদেরও অনেক সময় মন খারাপ থাকে। সেই সময়টায় ভালো কথা শুনেও অনেক সময় আমরা কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ফেলি। কিন্তু সেলেব্রেটিদের ছোটখাট কোনো ভুলও আমরা মানতে পারি না।

কত কত মানুষ তাদের সঙ্গে ছবি তুলতে যান, এদের মধ্যে সবসময় হয়তো পরিস্থিতি, মেজাজ মর্জি ভালো থাকে না তাদের। সেই সময় ছোট কিছু ঘটলেও সেটা বড় প্রচার পেয়ে যায়। এর মধ্যে সাকিবের নামটি বোধ হয় সবার উপরে।

বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের অনেক দুর্নাম। তিনি অনেক সময় ভক্তদের চাহিদামতো ছবি তুলতে চান না, অনেক সময় ভক্তদের এড়িয়ে যান-এমন নানা কথা প্রচলিত বাজারে। তবে এই সাকিব যে ভক্তদের ভালোবাসার মূল্যও দিয়ে চলেছেন, সেটা মাঠে হোক কিংবা মাঠের বাইরে সেই খবর অনেকেই রাখেন না।

এবার আসল প্রসঙ্গে আসা যাক, বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ছিল তার দলের ম্যাচ। সে ম্যাচ শেষে টিম বাসে উঠছিলেন সাকিব। এ সময় পড়িমড়ি করে এক ভক্ত তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সাকিব ততক্ষণে বাসে উঠে গেছেন। ওই ভক্তকে আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

বিষয়টি সাকিবের নজরে আসতেই বাস থেকে নেমে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ভক্তকে ইশারা করে নিজের দিকে ডাকেন। ঢাকা ডায়নামাইটসের জার্সি পরা ওই ভক্ত সাকিবের ডাক শুনে তার দিকে ছুটে যান, পায়ে ধরে সালাম করতে চান। ঢাকা অধিনায়ক তাকে টেনে তুলে জড়িয়ে ধরেন। ছবিও তুলেন। ওই ভক্ত আবেগ ধরে না রাখতে পেরে কাঁদছিলেন। আর সাকিব তাকে স্বান্ত্বনা দিয়ে খুশি মনে বিদায় করেন।

ব্যস্ততার কারণে এই কাজটুকু করাও কিন্তু ভীষণ কঠিন সেলেব্রেটিদের জন্য। সেটাই বা কজন বোঝেন?

এমএমআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।