ইনজুরি আক্রান্ত ‘বন্ধু’ তাসকিনের বাড়িতে লঙ্কান শানাকা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কথায় বলে ক্রিকেট ‘রাজার খেলা’, বলা হতো ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। সময়ের আবর্তে সেই ক্রিকেটের গায়ে ম্যাচ-স্পট ফিক্সিং এবং বাজির অনেক কালো দাগ। ম্যাচ পাতানো, স্পট ফিক্সিং ও বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে বারংবার অভিযুক্ত হয়েছেন নামী ক্রিকেটার, সাজাও পেয়েছেন।

অসি ক্রিকেটের সময়ের সেরা দুই তারকা স্টিভেন স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নারের মতো ক্রিকেটারও বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়ে জাতীয় দলের বাইরে। এসব নেতিবাচক ঘটনায় ক্রিকেটের সুনাম ও আভিজাত্য ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং হচ্ছে তারপরও হারিয়ে যায়নি ক্রিকেটারদের ভদ্রতাবোধ, সৌজ্যনতা, আন্তরিক সখ্যতা ও মেলবন্ধন।

মাঠে প্রায়ই দেখা যায় প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের বুটের ফিতা বেঁধে দিচ্ছেন কোনো ফিল্ডার। ভিনদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যেও দেখা যায় সখ্যতা। তারই প্রমাণ মেলে শ্রীলঙ্কান পেস বোলিং অলরাউন্ডার দাসুন শানাকার সঙ্গে বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদের বন্ধুত্ব।

Taskin-(top)

বাংলাদেশে শানাকার সবচেয়ে কাছের বন্ধু তথা ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ তাসকিন আহমেদ। কিন্তু গত ১ ফেব্রুয়ারি চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে মাঠ থেকে ছিটকে গেছেন তাসকিন। সে ম্যাচে তাসকিনের বিপক্ষ দলেই ছিলেন শানাকা।

খুব কাছে থেকেই তিনি দেখেছেন প্রিয় বন্ধুর ইনজুরি ও মাঠ ছাড়ার যন্ত্রণা। তাই ইনজুরি আক্রান্ত বন্ধুকে সমবেদনা জানাতে এবং ভালো কিছু সময় কাটাতে গতকাল (সোমবার) তাসকিনের বাসায়ই চলে গিয়েছেন শানাকা। দেখা করেছেন পুরো পরিবারের সঙ্গে, খোঁজ নিয়েছেন তাসকিনের পায়ের ইনজুরির।

এসময় কেক কেটে শানাকাকে স্বাগত জানায় তাসকিনের পরিবার। নিজ হাতে তাকে কেক খাইয়ে দেন তাসকিনের মা। পরে তাসকিন ও শানাকা আড্ডা দেন নিজেদের মতো করে, প্রাণভরে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বন্ধুর বাড়িতে ভ্রমণ করার ছবিও শেয়ার করেছেন শানাকা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাসকিনের বাসায় গেলাম। খুবই দারুণ সময় ছিলো। আশা করি তুমি (তাসকিন) দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবে।’

এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।