ধোনি ফিরতেই বদলে গেল ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিরাট কোহলি ছিলেন না, ছিলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনিও। চতুর্থ ওয়ানডেতে সেই ভারতকে যেন মনে হলো ক্রিকেটের নবীশ কোনো দল। বড় এই দুই তারকার বিশ্রামের সুযোগে সফরকারি দলকে রীতিমত লজ্জায় ডুবায় প্রথম তিন ম্যাচ হেরে সিরিজ খুয়ানো নিউজিল্যান্ড। বলের হিসেবে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হার দেখে ভারত।

সেই ধাক্কা খেয়ে ওয়েলিংটনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ধোনিকে একাদশে ফিরিয়ে আনে ভারত। আর তাতেই যেন বদলে যায় দল। কোহলি বিশ্রামে ছিলেন এই ম্যাচেও। তবে ধোনির ফেরার ম্যাচে ৩৫ রানের জয় তুলে নিয়েছে দুইবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজের ট্রফিটাও হাতে তুলেছে তারা।

ধোনি অবশ্য ব্যাট হাতে একদমই সফল ছিলেন না। মাত্র ১ রান করেন সাবেক এই অধিনায়ক। কিন্তু দলে কি তার দরকারটা শুধু ব্যাটিং কিংবা উইকেটকিপিংয়েই? ধোনি একাদশে থাকা মানে বাড়তি একজন অধিনায়ক নিয়ে খেলতে নামা। অতীতেও মাঠে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বড় প্রভাব রাখতে দেখা গেছে তাকে।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য আরও একবার বড় বিপদে পড়েছিল ভারত। ১৮ রানের মধ্যে তারা খুইয়ে বসেছিল ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেটে বিজয় শঙ্করকে নিয়ে ৯৮ রানের বড় জুটিতে দলকে বিপদ থেকে বাঁচান আম্বাতি রাইডু।

৪৫ রানে রানআউটের কবলে পড়েন বিজয় শঙ্কর। এরপর কেদর যাদবকে নিয়ে ৭৪ রানের আরেকটি জুটি রাইডুর। সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে এসেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রাইডুকে ফিরতে হয়েছে ১০ রানের আক্ষেপ নিয়ে। ১১৩ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৯০ রান।

পরে হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়ে ২৫২ রানের লড়াকু পুঁজি গড়তে পেরেছে ভারত। ২২ বলে ২ চার আর ৫ ছক্কায় এই অলরাউন্ডার করেন ৪৫। এছাড়া কেদর যাদবও করেন ৩৪ রান।

নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি ৩৫ রানে নেন ৪টি উইকেট। ৩টি উইকেট শিকার ট্রেন্ট বোল্টের।

জবাব দিতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ইনিংসের ৩৫ বল বাকি থাকতেই ২১৭ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। স্বাগতিক দলের কেউ হাফসেঞ্চুরিও করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস আসে জেমস নিশামের ব্যাট থেকে। কেন উইলিয়ামসন ৩৯ আর টম লাথাম করেন ৩৭ রান।

ভারতের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। ২টি করে উইকেট পান মোহাম্মদ শামি আর হার্দিক পান্ডিয়া।

এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।