ঐতিহাসিক ‘টাই’ টেস্টের আম্পায়ারের মৃত্যু

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪২ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

বুধবার ভারতের সাবেক আম্পায়ার দারা দোতিওয়ালা ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ৬টি টেস্ট এবং ৮টি ওয়ানডেতে আম্পায়ারিং করা দোতিওয়ালাকে আলাদা করে চেনার কোনো কারণ নেই।

কিন্তু দোতিওয়ালার নাম ঠিকই লেখা রয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায়। কেননা প্রায় ১৪২ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত ‘টাই’ বা অমীমাংসিত থেকে গেছে মাত্র ২টি টেস্ট। যার সবশেষটি আজ থেকেও প্রায় ৩৩ বছর আগে ভারতের চেন্নাইতে।

স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সেই চেন্নাই টেস্টের আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন দারা দোতিওয়ালা। স্বদেশী বিক্রমরাজুর সঙ্গে মিলে সেই ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন দোতিওয়ালা।

ক্রিকেট ইতিহাসের লেখক-বিশ্লেষকরা চেন্নাইয়ের সেই টাই ম্যাচের খানিক কৃতিত্ব দিয়ে থাকেন দুই আম্পায়ারকেও। কেননা এখনো অনেক ক্রিকেট ইতিহাসবিদই মনে করেন সে ম্যাচের শেষ উইকেট হিসেবে মানিন্দার সিংকে যে লেগ বিফোরের আউট দেয়া হয়েছিল সেটি ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত।

গ্রেগ ম্যাথুজের বোলিংয়ে মানিন্দারের সেই উইকেটের কারণেই টাই হয়ে যায় ম্যাচটি। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার করা ৫৭৪/৭’র জবাবে ৩৯৭ রানে অলআউট হয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ১৭০/৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করলে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪৮ রানের।

কিন্তু ঠিক ৩৪৭ রানেই ভারত অলআউট হয়ে গেলে ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো টাই হয় কোনো টেস্ট। এর আগে ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ব্রিসবেন টেস্টটি ছিলো ইতিহাসের প্রথম টাই টেস্ট ম্যাচ।

১৯৩৩ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করা দোতিওয়ালা ১৯৮২ সালে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার কানপুর টেস্টের মধ্য দিয়ে নিজের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। একই বছর ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটেও অভিষেক হয় তার।

১৯৮৭ সালে স্বাগতিক ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দিল্লি টেস্টটি ছিলো দোতিওয়ালার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। অন্যদিকে পরের বছর কুটাকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে শেষবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করতে নামেন তিনি।

এসএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।