চট্টগ্রাম পর্ব শেষে ঝুলে থাকল ঢাকা-রাজশাহীর ভাগ্য

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত: ১০:৩৩ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

সবার ওপরে থেকে চট্টগ্রামে খেলতে এসেছিল চিটাগং ভাইকিংস। শেষ পর্যন্ত রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পর তৃতীয় দল হিসেবে শেষ চারে নাম লিখিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করেছে মুশফিকুর রহীমের চিটাগং ভাইকিংস।

এখন প্রশ্ন একটাই, চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে খেলবে কে? ঢাকা ডায়নামাইটস নাকি রাজশাহী কিংস? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে ঢাকায় শেষপর্বে। তবে আজ রাজশাহী শেষ ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সকে ৫ উইকেটে হারালেও মিরাজের দলের শেষ চারে পা রাখার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।

কারণ তাদের আর কোনো ম্যাচ বাকি নেই। অর্থাৎ রাজশাহীর পয়েন্ট ১২ খেলায় ১২'ই থাকবে। অন্যদিকে সাকিবের ঢাকার খেলা বাকি আরও দু'টি। একটি সবার নিচে থাকা খুলনার সঙ্গে। অন্যটি আগেই শেষ চারে পৌঁছে যাওয়া কুমিল্লার সাথে।

raj

ওই দুই ম্যাচের দুটিতে জিতে গেলে তো কথাই নেই। অন্তত একটিতে জিতলেও ঢাকাই শেষ চারে নাম লেখাবে। তখন ঢাকা ও রাজশাহীর পয়েন্ট সমান হলেও নেট রানরেটে ঢাকা এখন পর্যন্ত অনেক এগিয়ে। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে আর রান গড় ভালো করার দরকার নেই, এখন যে নেট রানরেট আছে- তা বজায় রেখে এক ম্যাচ জিতলেই চলবে সাকিব বাহিনীর।

এদিকে আজ ১১ নম্বর ম্যাচে ১৮৯ রানের বড় স্কোর গড়েও হারের কারণে এবারের বিপিএল থেকে বিদায় নিল সিলেট সিক্সার্স। ১১ খেলায় অলক কাপালি ও সাব্বির রহমানদের পয়েন্ট ৮'এই বহাল থাকল। এখন ১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) শেষ ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে জিতলেও লাভ হবে না তাদের। তখন ওয়াকার ইউনুসের শিষ্যদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১২ খেলায় ১০। কাজেই হিসেব পানির মতো সহজ।

মাশরাফির রংপুর, তামিম-ইমরুলের কুমিল্লা আর মুশফিকের চিটাগং শেষ চারে। চতুর্থ দল হবার লড়াইয়ে সাকিবের ঢাকা আর মিরাজের রাজশাহী। ঢাকায় শেষপর্বে যেহেতু আর কোনো ম্যাচ নেই তাই রাজশাহীর শুধু অপেক্ষাায় থাকা ছাড়া আর কিছু করার নেই। ঢাকার আছে করার। শেষ দুই ম্যাচে অন্তত একটি জয় দরকার। তাহলেই শেষ চারের টিকিট মিলবে সাকিব বাহিনীর। আর দুই ম্যাচ হারলে মিরাজের রাজশাহী চার নম্বর দল হিসেবে চলে যাবে শেষ চারে।

এআরবি/এসএএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।