কেন নিউজিল্যান্ড সফরের দলে নেই, জানেন না ইমরুলও

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত: ০৭:৩৭ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

ঠিক বিস্ময় বলা যায় না। তবে অবাক করার মতো ঘটনা অবশ্যই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দুই সেঞ্চুরিসহ রেকর্ড ৩৪৯ রান করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে দুটি ইনিংস খারাপ খেলার কারণে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট এবং ওয়ানডে দলে নেই ইমরুল কায়েস।

ইমরুল কায়েস নিজেকে তাই দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। কদিন আগে তার পার্টনার তামিম ইকবালও প্রকাশ্যেই বলেছেন, ‘সত্যিই ইমরুলের ব্যাড লাক। সে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারে।’

তামিম একা নন। অনেকেরই মতো, ইমরুল সত্যিই খানিক দুর্ভাগা। এক সিরিজে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখানোর পর দুটি মাত্র ম্যাচে খারাপ খেলার কারণে ওয়ানডে-টেস্ট দুই দল থেকেই বাদ, কোনটায়ই জায়গা হবেনা, সেটাই বা কেমন কথা?

বিষয়টি নিয়ে ইমরুল নিজে কি ভাবছেন? তার অনুভব ও উপলব্ধিটাই বা কি? তা জানতে উন্মুখ ছিলেন অগণিত ইমরুল ভক্ত। তাহলে শুনুন, নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট এবং ওয়ানডে দলে থাকতে না পেরে হতাশ ইমরুল। মনটাও বেশ খারাপ এ বাঁহাতি টপ অর্ডারের।

আজ সন্ধ্যায় সেই হতাশার কথাই শুনিয়েছেন ইমরুল কায়েস। অস্ট্রেলিয়ান স্টিভেন স্মিথ চলে যাবার পর বিপিএলে এখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক তিনি।

আজ খুলনা টাইটান্সের সাথে ৮০ রানের বড় জয়ের পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবেই সংবাদ সন্মেলনে এসেছিলেন ইমরুল। সেখানেই তার নিউজিল্যান্ড সফরে দলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে কথা ওঠে।

প্রশ্ন করা হয়, এক সিরিজে অমন ভাল খেলার পর দুটি মাত্র ইনিংসে ব্যর্থতার কারণে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে দলে জায়গা না পাওয়াকে কিভাবে দেখছেন? জবাবে ইমরুলকে বেশ হতাশই মনে হয়েছে। অনেক কথার ভিড়ে এক পর্যায়ে বলে বসেন, ‘হ্যাঁ, আমি দুর্ভাগাও।’

তবে তারপর যা বলেছেন, সারমর্ম হলো-তার প্রায় পুরো ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। ইতিপূর্বেও তিনি ভাল খেলার পর বাদ পড়েছেন। এখন তাই বাদ পড়াটাকে মেনেও নিয়েছেন। এবং বাদ পড়াকে নিয়তি ভেবে আবার ফেরার চেষ্টা করায় অভ্যস্তও হয়ে পড়েছেন।

আর তাইতো মুখে এমন কথা, ‘গত দশ বছর ধরে তো এভাবেই খেলে আসছি। খেলতে হচ্ছে। আমি নিজেও জানি না যে, আমি ভালো খেলার পর পরের সিরিজে খেলতে পারব কি পারব না, আমি নিজেও এক্সপেক্ট করি না। আমি ওভাবেই মেন্টালি রেডি থাকি, যখনই সুযোগ পাই জাতীয় দলের জন্য একটা সুযোগ, ওভাবেই খেলার চেষ্টা করি।’

এই যে ভালো খেলার পর আবার বাদ পড়া-এ সম্পর্কে নির্বাচকদের সাথে কি তার কথা হয়? নির্বাচকরা কি কোন সুনির্দিষ্ট মানদন্ড বেঁধে দেন বা দিয়েছেন? কিংবা তার কোন বিশেষ ঘাটতি বা সীমাবদ্ধতা কি চিহ্নিত করা হয়েছে ?

এমন প্রশ্ন করা হলে ইমরুল যে উত্তর দেন, তাতে পরিষ্কার বোঝা গেছে যে তিনি নিজেও জানেন না কি করলে এবং কেমন খেললে তাকে বিবেচনায় আনা হবে। তার বিশেষ ভুল বা সীমাবদ্ধতা থাকলে তা চিহ্নিত থাকলে তা শুধরে ও ঘষেমেজে নিজেকে তৈরি করা যায় ।

যদি কোন জায়গায় বিশেষ দুর্বলতা ও ঘাটতি থাকে, তাহলে তা নিয়ে কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ইমরুল। কিছুটা আক্ষেপের সুরেই বলেন, ‘সেই জিনিসটা যদি ক্লিয়ার করেন, তাহলে আমি ওই জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে পারি। আরও বেটার ওয়ার্ক করতে পারি। আমার কাছে মনে হয় এই জিনিসটা ক্লিয়ার হওয়া আমার জন্য বেটার। কারণ আমি কেন থাকতেছি না বা কেন নেই, আমি নিজেও জানি না। হয়তো টিম কম্বিনেশনের কারণে। হয়তো ম্যানেজম্যান্ট চিন্তা করেছে, একই পজিশনে (অনেক ব্যাটসম্যান) আমাকে দরকার নাই। তার জন্য হয়তো আমি তাদের মাথায় নেই।’

এআরবি/এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।