সিলেটের কাছে পাত্তাই পেল না রাজশাহী
ফজলে মাহমুদ একাই যা একটু লড়লেন। বাকিরা কেউই দলের প্রয়োজন মেটাতে পারলেন না। চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজশাহী কিংসকে ৭৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অলক কাপালির নেতৃত্বে খেলা সিলেট সিক্সার্স।
লক্ষ্য ছিল বেশ বড়, ১৮১ রানের। ১৬ রানের মধ্যে লরি ইভান্স (১) আর মুমিনুল হককে (৫) হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজশাহী। এরপর রায়ান টেন ডেসকাট (১২) আর জাকির হাসানও (১৬) বেশিদূর এগোতে পারেননি।
একটা প্রান্ত ধরে লড়ে যাচ্ছিলেন ফজলে মাহমুদ। ৪১ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫০ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ নেওয়াজ। ওই ওভারেই রাজশাহীর আরেক ভরসা ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কারকে (১) তুলে নেন পাকিস্তানি স্পিনার।
৮৮ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানো রাজশাহী আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। সিকুগে প্রসন্ন ২ আর মেহেদী হাসান মিরাজ মাত্র ১ রানেই আউট হয়ে গেলে বড় পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে দলটি অলআউট হয় ১০৪ রানে।
সিলেট সিক্সার্সের সোহেল তানভীর মাত্র ১৭ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। ২২ রানে ৩টি উইকেট নেন নেওয়াজ। এছাড়া তাসকিন আর অলক কাপালিও পান ২টি করে উইকেট।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৮০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল সিলেট। অথচ জেসন রয় ও লিটন দাসের ব্যাটে ঝড়ো সূচনার পরে মনে হচ্ছিলো অনায়াসেই ২০০ পার করে ফেলবে তারা। তবে রাজশাহীর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেটি করতে পারেনি সিলেট।
টসে হেরে রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। প্রথম ওভারেই ১টি করে চার-ছক্কার মারে ১৪ রান নিয়ে নেন লিটন দাস। তবে পরের ওভারেই আরেক ওপেনার সাব্বির রহমানকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন আরাফাত সানি।
ঠিক পরের ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের শিকারের পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। আউট হওয়ার আগে ৩ চার ও ১ ছক্কার মারে ১৩ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তোলেন এ ম্যাচেই প্রথম খেলতে নামা জেসন রয়।
দুজন মিলে মাত্র ৩৬ বলে যোগ করেন ৬২ রান। এর মধ্যে ২৮ বলে ৪২ রানই আসে জেসনের ব্যাট থেকে। দশম ওভারের শেষ বলে জেসন আউট হওয়ার সময় সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেট ৯৬ রান। ৪ চার ও ২ ছক্কার মারে নিজের ইনিংস সাজান জেসন রয়।
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ ব্যাট করলেও আজকের ম্যাচে ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না আফিফ। ৩ চার ও ১ ছক্কা হাঁকালেও ২৮ রান করতে ২৯ বল খরচ করে ফেলেন তিনি। ধীর ইনিংস খেলে ২ ছক্কার মারে ১৮ বলে ১৯ রান করেন নিকলাস পুরান।
তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ৭ বলে ১১, অলক কাপালি ১৪ বলে ১৬ এবং সোহেল তানভীর ১০ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানে গিয়ে থামে সিলেটের ইনিংস।
রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে মোস্তাফিজুর রহমান নেন ২ উইকেট। এছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি, সেকুগে প্রসন্ন, আরাফাত সানি ও রায়ান টেন ডেসকাট ১টি করে উইকেট নেন।
এমএমআর/পিআর