শেখার আগ্রহ নিয়ে ভিলিয়ার্স-গেইলদের কাছে যেতে বললেন মাশরাফি

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই মাঠ ও মাঠের বাইরের নানান অব্যবস্থাপনা ও ভুলভ্রান্তি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে প্রচুর, হাস্যরসে মেতেছেন দেশের সাধারণ ক্রিকেট ভক্ত-অনুরাগীরা। তবে সেসব ছাপিয়ে বিপিএলের চলতি আসরে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে উত্তেজনা, বাড়ছে দর্শক-সমর্থকদের আগ্রহও। এর পেছনে অন্যতম একটি কারণ হলো এবারের আসরে আগের অন্য সব আসরের চেয়েও বেশি ও নামী তারকাদের উপস্থিতি।

এক রংপুর রাইডার্সেই রয়েছেন ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, রিলে রুশো ও অ্যালেক্স হেলসের মতো বিশ্ব ক্রিকেটের সুপরিচিত তারকারা। এছাড়া সিলেট সিক্সার্সের ডেভিড ওয়ার্নার, ইমরান তাহির; কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে স্টিভেন স্মিথ, এভিন লুইস, থিসারা পেরেরা; ঢাকা ডায়নামাইটসে আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন, ইয়ান বেল কিংবা খুলনা টাইটানসে রয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা।

এসব বিশ্বনন্দিত ক্রিকেটাররা মাঠে যেমন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের আপন মহিমায়, তেমনি মাঠের বাইরেও তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের। ডি ভিলিয়ার্স, গেইল কিংবা স্মিথ-ওয়ার্নারদের সঙ্গে এক মাঠে অনুশীলন অথবা একই ড্রেসিংরুমে সময় কাটানোর সুযোগ প্রত্যহ মেলে না দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের। তাদের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিবেশ কিংবা মানিয়ে নেয়ার সবকটা ঠিকঠাক নিচ্ছেন তো সাত দলে থাকা তরুণ ক্রিকেটাররা?

আজ (মঙ্গলবার) দিনের প্রথম ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন রংপুর রাইডার্স ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার দলেই খেলছেন গেইল-ডি ভিলিয়ার্সরা। মাশরাফি জানিয়েছেন, এসব বিশ্ব তারকারা কখনোই পরামর্শ দিতে কিংবা কাউকে সাহায্য করতে কার্পণ্য করে না। তবে এক্ষেত্রে থাকতে হবে নিজেদের ইচ্ছা। কেননা বিদেশি তারকারা নিশ্চয়ই নিজ থেকে কোনো কিছু বলবেন না।

খুলনা টাইটানসকে ৬ উইকেটে হারানোর পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে মাশরাফি বলেন, ‘তারা (বিদেশি তারকারা) অনেক বন্ধুবৎসল। কেউ যদি জানতে না চায়, তাহলে কেউ তো নিজ থেকে বলবে না। এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব হলো ওদের কাছ থেকে কিছু শেখা। এবি ডি ভিলিয়ার্সের মত প্লেয়ার আছে ড্রেসিং রুমে। শুধু যে আমাদের দলের প্লেয়াররা, তা না- অন্যান্য দলের প্লেয়াররা যদি কিছু জানতে চায়, শিখতে চায়, অবশ্যই ওরা সাহায্য করতে প্রস্তুত আছে। যদি কেউ জানতেও চায়, অন্যান্য দলের কেউ আমাদের কাছে এসে বললে আমরাও হেল্প করতে পারি। কিছু জানতে চাইলে ওরা সবসময়ই হাসিমুখে প্রস্তুত আছে।’

তবে কি আমাদের প্লেয়াররা ঠিকঠাক নিতে পারছে না? নাকি তাদের চাওয়াতেই রয়েছে ঘাটতি? এমন প্রশ্নের বিপরীতে মাশরাফির জবাব, ‘এ বিষয়টা ম্যান টু ম্যান আলাদা আলাদাভাবে কাজ করে। আমাদের ড্রেসিং রুমে যারা আছে হয়তো বা দুই একজন কথা বলছে। হয়তো ওদের সাথে আরও বেশি সময় পার করলে আমার মনে হয় আরও ভালো হত। বিশেষ করে আমাদের দলের কথা বলব না। যেমন ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে সাব্বির অনেক কথা বলেছে। আমি মাঠেও দেখেছি ওকে সাহায্য করছে। এই ধরনের সহায়তা একটা অফফর্মের প্লেয়ারদের জন্য ভালো সুযোগ। আমাদের বাংলাদেশি প্লেয়ারদের জন্য এটা অনেক বড় সুযোগ। এরা এমন না যে শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সফল। এখানে অনেক প্লেয়ার খেলছে যারা সারা বিশ্বেই পারফর্ম করে এবং টেস্ট ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি সব কিছুতেই।’

এসএএস/এমএমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।