মাহমুদউল্লাহ ঝড়ের পরও হারের বৃত্তে আটকা খুলনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২৪ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

হারের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না খুলনা টাইটান্স। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে এবার মাহমুদউল্লাহর দল হেরেছে ২৬ রানে। এ নিয়ে সাত ম্যাচের ছয়টিতেই হার দেখল মাহেলা জয়াবর্ধনের শিষ্যরা। ফলে বিপিএলে প্লে-অফ খেলার স্বপ্নও বলতে গেলে ধূসর হয়ে গেল দলটির।

২১৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বড় বিপদে পড়ে খুলনা টাইটান্স। দলের খাতায় ১৮ রান উঠতেই সাজঘরের পথ ধরেন ৩ ব্যাটসম্যান-পল স্টারলিং (০), আল আমিন (৫) আর জুনায়েদ সিদ্দিকী (১২)। শুরুর সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি খুলনা।

১৬ বলে ২৮ রান করে ফিরেন ব্রেন্ডন টেলর। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু ২৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় তার ৫০ রানের ইনিংসটি বড় লক্ষ্য তাড়া করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। অধিনায়ক আউট হওয়ার পরই আসলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে পড়ে খুলনা।

পরের দিকে ডেডিভ ওয়াইজের ২০ বলে ৪০ (২ চার, ৪ ছক্কায়) আর তাইজুল ইসলামের ২১ বলে ২২ রান পরাজয়ের ব্যবধানটাই যা একটু কমিয়েছে। খুলনা যেতে পেরেছে ৮ উইকেটে ১৮৮ পর্যন্ত।

চিটাগং ভাইকিংসের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। ২টি উইকেট শিকার খালিদ আহমেদের।

এর আগে, বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৪ রানের পুঁজি গড়ে মুশফিকুর রহিমের চিটাগং। মাত্র ৪ রানের জন্য ২০১৩ সালে ঢাকার করা ২১৭ রানকে টপকে যেতে পারেনি তারা।

খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আমন্ত্রণে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে চিটাগং। শুরু থেকেই খুলনার বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় চালাতে থাকেন চিটাগংয়ের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। ৩টি করে চার-ছক্কার মারে ১৭ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। অপর ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।

প্রথম পাওয়ার প্লে'তে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান করে চিটাগং। সপ্তম ওভারের প্রথম বল থেকে জুটি বাঁধেন চিটাগংয়ের ঘরের ছেলে ইয়াসির আলি রাব্বি এবং অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। দুইজনের জুটিতে মাত্র ৫০ বলে ৮৩ রান পায় চিটাগং। আসরে নিজের প্রথম ফিফটিতে ৫ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৩৬ বলে ৫৪ রান করেন ইয়াসির।

ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক মুশফিকও। আগের ম্যাচেই ৪১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে জেতানো মুশফিক এ ম্যাচে খেলেছেন ৫২ রানের ইনিংস। ৮ চার ও ১টি ছক্কার মারে ৩৩ বলে এ রান করেছেন তিনি। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিক সাজঘরে ফিরে যাওয়ার সময় চিটাগংয়ের দলীয় সংগ্রহ ছিলো ৪ উইকেটে ১৭০ রান।

আসরে প্রথমবারের মতো দুইশ পেরুতে হলেও শেষের ১৪ বলে করতে হতো ৩০ রান। কিন্তু দুই বিদেশি দাশুন শানাকা এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ১৪ বলে ৪৪ রান পায় চিটাগং। এই ১৪ বলে ৪টি করে চার-ছক্কা মারেন শানাকা ও নাজিবুল্লাহ।

শেষপর্যন্ত ৩ চার ও ৪ ছক্কার মারে মাত্র ১৭ বল থেকে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন শানাকা। ২ চার ও ১ ছক্কার মারে ৫ বলে ১৬ রান করেন নাজিবুল্লাহ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চিটাগংয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২১৪ রান।

এমএমআর/এমবিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।