বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ চিটাগংয়ের
শুরুর কয়েক ম্যাচে তেমন রান না হলেও, শেষদিকে এসে জমে উঠেছে বিপিএলের সিলেট পর্ব। রান হচ্ছে প্রায় প্রতি ম্যাচেই। সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচেও রান পাহাড়ে চড়েছে মুশফিকুর রহীমের চিটাগং ভাইকিংস। বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৪ রান করেছে চিটাগং। মাত্র ৪ রানের জন্য ২০১৩ সালে ঢাকার করা ২১৭ রানকে টপকে যেতে পারেনি তারা।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চট্টগ্রামের পক্ষে বাজি ধরার তেমন কাউকে না পাওয়া গেলেও, মাঠের খেলা শুরু হতেই নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করেছে মুশফিকের দল। এ ম্যাচের আগে খেলা চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে চিটাগং। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও জয়ের অর্ধেক কাজ শেষ করে রাখল প্রথম ইনিংসেই। ম্যাচ জিততে ২১৫ রান করতে হবে ধুঁকতে থাকা খুলনা টাইটানসকে।
খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আমন্ত্রণে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে চিটাগং। শুরু থেকেই খুলনার বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় চালাতে থাকেন চিটাগংয়ের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। ৩টি করে চার-ছক্কার মারে ১৭ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। অপর ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।
প্রথম পাওয়ার প্লে'তে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান করে চিটাগং। সপ্তম ওভারের প্রথম বল থেকে জুটি বাঁধেন চিটাগংয়ের ঘরের ছেলে ইয়াসির আলি রাব্বি এবং অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। দুইজনের জুটিতে মাত্র ৫০ বলে ৮৩ রান পায় চিটাগং। আসরে নিজের প্রথম ফিফটিতে ৫ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৩৬ বলে ৫৪ রান করেন ইয়াসির।
ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক মুশফিকও। আগের ম্যাচেই ৪১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে জেতানো মুশফিক এ ম্যাচে খেলেছেন ৫২ রানের ইনিংস। ৮ চার ও ১টি ছক্কার মারে ৩৩ বলে এ রান করেছেন তিনি। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিক সাজঘরে ফিরে যাওয়ার সময় চিটাগংয়ের দলীয় সংগ্রহ ছিলো ৪ উইকেটে ১৭০ রান।
আসরে প্রথমবারের মতো দুইশ পেরুতে হলেও শেষের ১৪ বলে করতে হতো ৩০ রান। কিন্তু দুই বিদেশী দাশুন শানাকা এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ১৪ বলে ৪৪ রান পায় চিটাগং। এই ১৪ বলে ৪টি করে চার-ছক্কা মারেন শানাকা ও নাজিবুল্লাহ।
শেষপর্যন্ত ৩ চার ও ৪ ছক্কার মারে মাত্র ১৭ বল থেকে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন শানাকা। ২ চার ও ১ ছক্কার মারে ৫ বলে ১৬ রান করেন নাজিবুল্লাহ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চিটাগংয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২১৪ রান।
বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ
১. ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর - ২১৭/৪ বনাম রংপুর রাইডার্স, ২০১৩
২. চিটাগং ভাইকিংস - ২১৪/৪ বনাম খুলনা টাইটানস, ২০১৯
৩. দুরন্ত রাজশাহী - ২১৩/৬ বনাম বরিশাল বার্নার্স, ২০১৩
৪. খুলনা টাইটানস - ২১৩/৫ বনাম রাজশাহী কিংস, ২০১৭
৫. চিটাগং ভাইকিংস - ২১১/৫ বনাম সিলেট সিক্সার্স, ২০১৭
এসএএস/জেআইএম