কে বলবে, ফোলা হাত নিয়েই খেলছেন ওয়ার্নার!
চরম পেশাদারিত্ব যাকে বলে! আগের দিনই জানিয়েছিলেন, ব্যথানাশক নিয়ে খেলছেন, কিন্তু হাতের ফোলা কমেনি। অথচ পরের দিন ঠিকই ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে দেখা গেল ডেভিড ওয়ার্নারকে।
শুধু কি মাঠে থাকার জন্যই থাকা? না, অস্ট্রেলিয়ানরা যে কতটা পেশাদার হতে পারে তার একটা নমুনা দেখা গেল ঢাকা ডায়নামাইটের বিপক্ষে ম্যাচে। কনুইয়ে চোট আছে, দেশে ফিরে যাওয়ার কথাও পাকা। শেষ দুই ম্যাচে ওয়ার্নারের নির্লিপ্তই থাকার কথা!
তবে মাঠে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের অ্যাপ্রোচ অ্যাপ্লিকেশন দেখে মনে হচ্ছিল, এই দলটা যেন তার অস্ট্রেলিয়া। দলের জন্য যতটুকু সম্ভব করতে চান, এক সেকেন্ডের সময়টুকুও যেন নষ্ট করতে চান না।
আগের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মাত্র ৩৬ বলে হার না মানা ৬১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছিলেন। বাঁহাতি ওয়ার্নার শেষদিকে ডানহাতে ব্যাটিং করে চমকে দিয়েছিলেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। জিতেছিল দলও। এবার সেই ওয়ার্নার আরও একবার দলের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়লেন।
সিলেট সিক্সার্সের আর কোনো ব্যাটসম্যান ফিফটি পাননি। ওয়ার্নার একাই করলেন ৪৩ বলে ৬১, যে ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায়। বলতে গেলে বাঁহাতি এই ওপেনারের একক কৃতিত্বেই সিলেট পেল ১৫৮ রানের লড়িয়ে পুঁজি। আর চলতি বিপিএলে ৬ ম্যাচ খেলে এ নিয়ে তিনটি ফিফটি করলেন ওয়ার্নার।
আগের দিনই নিজের অবস্থা জানাতে গিয়ে সিলেট সিক্সার্স অধিনায়ক ওয়ার্নার জানিয়েছিলেন, 'চোট আগেই ছিলো। কনুইয়ের সন্ধিতে তরল জমেছে। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়েছি। কিন্তু হাতের ফোলা কমছে না। তাই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরামর্শে দেশে ফিরছি। ডাক্তার সেখানেই দেখবেন, এরপর সিদ্ধান্ত নিবেন অস্ত্রোপচার করাতে হবে কিনা। অসাধারণ একটা সময় কাটলো এবারকার বিপিএলে। দারুণ একটা দল আর ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে দারুণ কিছু সুখস্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরতে হবে। তবে সিলেটের হয়ে শেষ ২ ম্যাচে মনে রাখার মতো পারফরম্যান্স করতে চাই।'
ওয়ার্নার তার কথা রাখলেন শেষ দুই ম্যাচের প্রথমটিতে। ২০ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরবেন। তার আগে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে একটি ম্যাচ আছে সিলেটের। শেষ দুই ম্যাচের প্রথমটিতে তো নিজের কথা রেখেছেন ওয়ার্নার, শেষটিতেও কি তার ব্যাটিং ঝলক দেখা যাবে?
সেটা হলে দলের জন্য ভালো। তবে আফসোসটাও কিন্তু বাড়বে বিপিএল সমর্থকদের। ওয়ার্নারের মতো একজন খেলোয়াড়কে পুরো টুর্নামেন্টে না পাওয়ার আফসোস।
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ