ক্রিকেটে নতুন পরিচয় পেলো ভারত!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯

ক্রিকেট বিশ্বে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন পরিচয়ের কি সত্যিই খুব প্রয়োজন ছিল? দু’বারের বিশ্বজয়ী দেশটি বারবার উঠে আসে টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। এখনও টেস্ট ক্রিকেটে সারা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিরাট কোহলিরা। তবুও, ভারতীয় অধিনায়কের কথা শুনে মনে হচ্ছে, ক্রিকেট বিশ্বে তাদের নতুন পরিচয়ের প্রয়োজন ছিল।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই প্রথমবারের মত স্বাগতিকদের টেস্ট সিরিজে হারাল ভারত। অ্যাডিলেডে জয়ের পর মেলবোর্নেও জিতেছিল ভারতীয়রা। এরপর সিডনি টেস্ট হলো ড্র। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করলো বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে সিরিজ জয় করলো ভারতীয়রা।

স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ে দারুণ খুশি ভারতীয় ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কর্মকর্তা এবং সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই তারা এই জয়কে বলে দিয়েছে, বিশ্বকাপ জয়ের চেয়েও স্পেশাল কিছু। বিরাট কোহলি বলে দিলেন, তার পুরো ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা অর্জনটি পেলেন তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই জয়ে।

সিডনিতে সিরিজ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বিরাট কোহলি আরও একটি তথ্য দিয়ে দিলেন। বলে দিলেন, এখন থেকে ক্রিকেটে নতুন পরিচয় পেলো ভারত।

সংবাদ সম্মেলনে এসে কোহলি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে এটাই সবচেয়ে সু-উচ্চ সাফল্যের পিলার। ২০১১ সালে যখন আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, তখন আমি ছিলাম দলের সর্বকনিষ্ট সদস্য। আমি দেখলাম মানুষ আমার চারদিকে ঘিরে ধরে নিজেদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করছে। কিন্তু তখন আমি বুঝতে পারিনি তাদের আবেগ-অনুভুতি কতটা ছিল। অথচ, এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আমার তৃতীয় সফর এবং এবার যা অর্জন করেছি, এর আগে এখানে তা অর্জন করতে পারিনি। আমি জানি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিষয়টা কতটা কঠিন।’

কোহলি জানিয়ে দেন এই জয় তাদেরকে ভিন্ন একটি পরিচয় এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই জয়ের জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া প্রয়োজন। ভারতীয় দলের জন্য এই জয় ভিন্ন একটি পরিচয় এনে দিয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম এসব দেখে অনুপ্রাণিত হবে এবং একই কাজ তারা করার চেষ্টা করবে নিজেদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’

২০১৫ সালে এই সিডনিতেই ভারতীয় টেস্ট দলের পূর্ণ নেতৃত্ব পেয়েছিলেন কোহলি। চার বছর পর সেখান থেকেই টেস্ট সিরিজ জয় করে নিলেন। যে কারণে একে তিনি নতুন ‘পরিচয়বাহী’ বলতেও দ্বিধা করলেন না।

বিরাট কোহলি বলেন, ‘এই অবশ্যই একটি বিশাল মাইলফলক। আপনি যদি এই দলটির গড় বয়সের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন খুবই কম বয়সী তারা। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম যে, আমরা পারবো। ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়ও আমাদের একই বিশ্বাস ছিল যে, আমরা সঠিক রাস্তাতেই আছি। এবং এখন তার ফল পাচ্ছি।’

আরআর/আইএইচএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।