হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মুখোমুখি স্মিথ-ওয়ার্নার
এবারের বিপিএলের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত লড়াই বোধ হয় এটাই, স্টিভেন স্মিথের মুখোমুখি ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক আর সহ-অধিনায়ক বলেই শুধু নয়। এ দুজনের প্রতি এবার আলাদা নজর থাকবে আরও কয়েকটা কারণে।
এক নাম্বার কারণটি সবারই প্রায় জানা, বল টেম্পারিং কাণ্ডে একইসঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। যার ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন তারা। স্মিথ-ওয়ার্নার দুজনই বিপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার কাজটি করতে পারবেন।
দুই, এবারই প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে এসেছেন এই যুগল। টেম্পারিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ না থাকলে এবারও বড় এই দুই তারকাকে হয়তো দেখা যেত না এই টুর্নামেন্টে। কেননা এমনিতেই তারা অনেক দামের তারকা। তার উপর এখন ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ চলছে অস্ট্রেলিয়ার।
জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তারা। নিষিদ্ধ না থাকলে নিশ্চিতভাবেই দলের অটোমেটিক চয়েজ থাকতেন স্মিথ-ওয়ার্নার। বাংলাদেশে খেলতে আসার কথা ভাবারই সুযোগ ছিল না।
বিপিএলে এবার স্মিথকে কিনে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল চিটাগং ভাইকিংস। এখানেও অবশ্য অনেক নাটকীয়তা ছিল। ড্রাফটের বাইরে তাকে দলে ভেড়ানোয় আপত্তি জানিয়েছিল বাকি দলগুলো। একটা সময় তো স্মিথকে 'না' করে দেয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিবি।
তবে টুর্নামেন্টের জৌলস এবং আবেদন বাড়ানোর যুক্তি তুলে শেষ পর্যন্ত দলগুলোকে রাজি করাতে পেরেছে বিসিবি। সেটাও আইন সংশোধন করে। সব দলকে ড্রাফটের বাইরে একজন করে খেলোয়াড় নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তারা।
ওয়ার্নারকে পেতে অবশ্য এতটা ঝামেলা পোহাতে হয়নি সিলেট সিক্সার্সকে। প্রথম দফায়ই তাকে রাজি করানো গেছে। প্রথমবারের মতো পেয়ে সিলেট তো ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্বও বুঝিয়ে দিয়েছে।
কাল (রোববার) দুপুর সাড়ে বারটায় দিনের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে চিটাগং ভাইকিংস আর সিলেট সিক্সার্স। প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলতে নামছেন স্টিভেন স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার। যে লড়াইয়ে শুধু বাংলাদেশিরা নন, বিশ্বের নানা প্রান্তের ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ থাকবে। বিপিএলের আবেদনও তাতে বাড়বে নিঃসন্দেহে।
এমএমআর/জেআইএম