দ্বিতীয় ম্যাচে এক পরিবর্তন, সাকিবকে নিয়েও শঙ্কা
ঘড়ির কাঁটা তখনো বিকেল তিনটা স্পর্শ করেনি। শেরে বাংলার একাডেমি মাঠে নেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা। টাইগারদের বড় অংশ তখন শেরে বাংলার পাশের ইনডোরে নিবিড় অনুশীলনে মগ্ন।
ঠিক এমন সময় হোম অব ক্রিকেটের সেন্ট্রাল উইকেটের ঠিক পাশে এসে দাড়ালেন বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, সাথে মোস্তাফিজুর রহমান। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইনডোর থেকে বেরিয়ে ওয়ালশ ও মোস্তাফিজের পাশে এসে দাঁড়ালেন আরেক পেসার রুবেল হোসেন।
তারপর শুরু হলো টার্গেট বোলিং প্র্যাকটিস। চললো একটানা ২০ থেকে ২৫ মিনিট। রাত পোহালেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচ। তার আগে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের সাথে রুবেলের শেরে বাংলার সেন্টার উইকেটের ঠিক পাশে একটানা অনেকক্ষণ ‘টাগেট বোলিং’ প্র্যাকটিসই বলে দিল কালকের ম্যাচের আগে কাটার মাস্টারের সাথে রুবেলকে ঝালাই করে নেয়া।
পরে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সাথে কথা বলে জানা গেল, ম্যাচের আগে শেষ প্র্যাকটিস সেশনে রুবেলকে অমন বোলিং প্র্যাকটিস করানোর কারণ।
‘কি ব্যাপার শুধু মোস্তাফিজ আর রুবেলকে আলাদা প্র্যাকটিস করানো হলো, তবে কি কাল দুজমাত্র পেসারই খেলবেন?’- এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নুর জবাব, ‘না না, কি যে বলেন। যে ঠাণ্ডা আর মেঘে ঢাকা আকাশ, পারলে চারজন পেসার খেলাই। সন্ধ্যার পরে নাকি প্রচণ্ড কুয়াশা পড়ে। শিশিরে মাঠ ভিজে একাকার। কাজেই পেসার কমানোর প্রশ্নই আসে না। আসলে কাল রুবেল খেলবে। তাই তাকে বাড়তি অনুশীলন করানো।’
তাহলে কার জায়গায় খেলবেন রুবেল? সাইফউদ্দীন না আবু হায়দার রনি? জানা গেলো বাঁহাতি পেসার রনির পরিবর্তেই ফিরবেন রুবেল। যার মানে দাঁড়ায় দলে একটি পরিবর্তন নিশ্চিত। আরও একটি রদ বদলের সম্ভাবনাও কি আছে?
প্রধান নির্বাচকের জবাব, 'ঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে শরীর খারাপ আছে একাধিক ক্রিকেটারের।' কার শরীর খারাপ, অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের? নিশ্চুপ প্রধান নির্বাচক।
এখানে উল্লেখ্য, আজ দুপুরে প্র্যাকটিসে এসে অল্প কিছুক্ষণ পরই মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছেন সাকিব। পরে বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানিয়েছেন, সকালে জ্বর জ্বর ভাব ছিল। শরীরটাও ম্যাজ ম্যাজ করছিলো। তাই মাঠে এসে অনুশীলন না করেই হোটেলে ফিরে গেছেন সাকিব।
কম হলেও সমস্যাটা জ্বর। এখন রাতে বেড়ে গেলেই সমস্যা। কাজেই অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে কম হলেও একটা সংশয়-সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
সাকিব না খেললে টিস কম্বিনেশন সাজাতে আবার বড় ধরনের রদবদল ঘটাতে হবে। কারন সবা জানা সাকিব একাই ‘টু ইন ওয়ান’। একাধারে ব্যাটসম্যান, অন্যদিকে বাঁহাতি স্পিনার।
এখন কোন কারণে সাকিব খেলতে না পারলে তার বিকল্প হিসেবে দুজনকে খেলাতে হবে। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান, অন্যজন স্পিনার। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান কোটায় মিঠুনের অন্তর্ভুক্তি ঘটতে পারে। আর দলে ব্যাকআপ স্পিনার আছেনই শুধু একজন, নাজমুল ইসলাম অপু।
সাকিব অসুস্থ্য থাকলে তাকেও একাদশে দেখা যেতে পারে। আর সাকিব সুস্থ্য হয়ে মাঠে নামতে পারলে কোনই কথা নেই। তখন শুধু রনির বদলে রুবেলকেই দেখা যাবে।
একটা সুবিধা আছে, জ্বরের তীব্রতা থাকলেও খেলাটি ২০ ওভারের। সময়ের নিরীখে সর্বোচ্চ তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা। এ সময়ে একজন বোলার চার ওভারের বেশী বল করতে পারবেন না। আর একজন ব্যাটসম্যান পুরো ২০ ওভার ব্যাট করলেও ৬০ থেকে ৬৫‘র বেশী বল খেলতে হয় না। তাই বলা, খেলাটা যেহেতু ২০ ওভারের, তাই সাকিবের জ্বর জ্বর ভাব বাড়লেও ঔষধ খেয়ে মাঠে নামার সুযোগ থাকবে যথেষ্ঠই।
এআরবি/এসএএস/এমএস