ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের
একই চিত্রনাট্যের যেন পুনরাবৃত্তি। ইমার্জিং কাপের সেমিফাইনালে আবারও প্রতিপক্ষ সেই শ্রীলঙ্কা। আবারও ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের। কলম্বোতে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টাইগারদের ৪ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
গতবার এই শ্রীলঙ্কার সঙ্গেই সেমিফাইনালের লড়াই পড়েছিল বাংলাদেশ। যে লড়াইয়ে মাত্র ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। সেবার ১৮০ রানের সহজ লক্ষ্য ৮ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে গিয়েছিল লঙ্কানরা।
এবার অবশ্য একটু স্বান্ত্বনার জায়গা আছে, পরাজয়টা অত বড় হয়নি। তবে হার তো হারই, সেটা যদি আবার হয় সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে। স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতেই ২৩৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন ওপেনার মিজানুর রহমান। ৬৬ করেন ইয়াসির আলি। আর ৩৯ রানের এক ইনিংস আসে মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাট থেকে।
লঙ্কানদের লক্ষ্য ছিল ২৩৮ রানের। বোলারদের নৈপুণ্যে একটা সময় ৮৭ রান তুলতেই শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। জয়ের আশা তখন বেশ ভালোভাবেই ছিল।
কিন্তু পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেটের দুটি জুটিতে ম্যাচটা টাইগারদের হাত থেকে নিয়ে নেয় লঙ্কানরা। পঞ্চম উইকেটে ৬৬ রান যোগ করেন শেহান জয়সুরিয়া আর কামিন্ডু মেন্ডিস। এই জুটিটি ভাঙে ৩৯ রান করা জয়সুরিয়া 'অবস্ট্রাক্টিং অব ফিল্ড' আউট হলে।
পরে ষষ্ঠ উইকেটে আসেলা গুনারত্নেকে নিয়ে ৬৪ রানের আরেকটি জুটি গড়েন কামিন্ডু মেন্ডিস। শেষ সময়ে এসে শরিফুল ইসলাম গুনারত্নেকে (২৪) তুলে নিলেও ততক্ষণে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। একটা প্রান্ত যে আগলে দাঁড়িয়ে ছিলেন কামিন্ডু!
শেষ পর্যন্ত ৮৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৯১ রানের এক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেই মাঠ ছাড়েন কামিন্ডু। তার সঙ্গে চামিকা করুণারত্নে অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৫০ রান খরচায় ২টি উইকেট পেয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম, নাঈম হাসান আর আফিফ হোসেন ধ্রুব।
এমএমআর/পিআর