আমরা চাই মাশরাফি ভাই আরও অনেকদিন খেলুক : মিরাজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনে এখন হটটপিক ‘মাশরাফি ও তার দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচ’। অনেকেরই ধারণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি সিরিজের শেষ ম্যাচটিই হতে চলেছে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।

এর যৌক্তিক কারণও অবশ্য রয়েছে। মাশরাফির কথায় অনেকবারই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে ২০১৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ পর্যন্তই হয়তো খেলবেন তিনি। এরপর গুটিয়ে নেবেন নিজের কেডস জোড়া। আর বিশ্বকাপ পর্যন্ত চলতি সিরিজের পর আর কোনো খেলা নেই দেশের মাটিতে।

এছাড়া বিশ্বকাপের পরেও দেশের মাটিতে বাংলাদেশের খেলা একেবারে অক্টোবর মাসে গিয়ে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মাশরাফি ততোদিন পর্যন্ত নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নেবেন কি-না সে ব্যাপারেও রয়েছে সংশয়। যদিও মাশরাফি এখনো নিশ্চিত নন দেশের হোম অব ক্রিকেটে আবার খেলতে নামবেন কি-না।

মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষেও এটিকে রেখেছেন রহস্যের মধ্যেই। জানিয়েছেন, ‘আসলে এটা আমার শেষ ম্যাচ হতে পারে, নাও হতে পারে। তবে কঠিন সত্য হলো, এটা একটা প্রক্রিয়া। একদিন সবাইকে চলে যেতেই হবে। আমি হঠাৎ কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। এখন আপাতত এ নিয়ে কোনো কিছু ভাবিনি।’

মাশরাফি চূড়ান্ত কিছু ভাবেননি বলেই তার ভক্ত-সমর্থক কিংবা দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিন্তা কমেনি একটুকুও। সবারই শঙ্কা হয়তো টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে থেকেও হুট করেই সরে যাবেন দেশসেরা এ অধিনায়ক।

তবে মাশরাফির সতীর্থ, দলের সবচেয়ে তরুণ সদস্য মেহেদি হাসান মিরাজের চাওয়া, যেনো অনেকদিন খেলেন প্রিয় বড় ভাই মাশরাফি বিন মর্তুজা। বুধবার ইউনিসেফের সাথে বিসিবির আনুষ্ঠানিক চুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন মিরাজ। সেখানেই এ কথা জানিয়েছেন মিরাজ।

তিনি বলেন, ‘মাশরাফি ভাই অনেক দিন বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিয়েছেন। আমাদের চেষ্টা থাকবে। বলতে পারবো না এটা তার শেষ ম্যাচ কি-না, আমরা চাই যে মাশরাফি ভাই আরও অনেক দিন খেলুক। এটাই আমি চাই। অবশ্যই প্রতিটা সিরিজ আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ, মাশরাফি ভাই সেকথা সবসময় বলেন। এটাও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।