‘শেষ সময়ে গিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছি’
২৫৫ রান করার পর গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শক-সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিল, জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বোলিংয়ের শুরুতেই মেহেদী মিরাজ ব্রেক থ্রু উপহার দেয়ার পর সেটা যেন আরও নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু এক প্রান্তে একা এক সাই হোপই বাংলাদেশের সব আশা শেষ করে দেন। অপরাজিত ১৪৬ রান করে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মাশরাফি বিন মর্তুজা জানিয়ে দিলেন, যে ব্যাটিং হয়েছে, এটা মোটেও নিজেদের সঙ্গে যায়নি। কারণ, বাংলাদেশ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাতে রান আরও ২০-৩০ বেশি হওয়া প্রয়োজন ছিল। এরপর বোলিংয়ে যেমনটা টাইট বোলিং করার প্রয়োজন ছিল, তেমনটা মোটেও করতে পারেনি বাংলাদেশ। যে কারণে হারতে হয়েছে।
মাশরাফির মতে, আজ ছিল ২৭০-২৮০’র উইকেট। তিনি বলেন, ‘এটা ২৭০ থেকে ২৮০-র উইকেট। তামিম এবং মুশফিক যখন ব্যাট করছিল, তখনই আমরা ড্রেসিং রুমে বসে আলাপ করছিলাম, রানটা ২৭০ থেকে ২৮০ হওয়া দরকার। সে সুযোগও ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি।’
আজ কেন যেন ভাগ্যটাও সঙ্গে ছিল না। মাশরাফি তেমনটাই মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘নিকট অতীতে আমরা যেকোনো সংকট-বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি খুব ভালোমতো। দেখা গেছে, শুরু ভালো না হওয়ার পরও একজন বা দু’জন সেঞ্চুরি করে ফেলেছে, ফিফটিগুলোও অনেক বড় হয়েছে। কিন্তু আজ খুবই অস্বাভাবিক লেগেছে যে, সাকিব-মুশফিক-তামিম তিনজনই হাফ সেঞ্চুরি করার পর থেমে গেছে। ইনিংসগুলো বড় করতে পারেনি।’
নিজেদের বোলিং-ফিল্ডিংও কাঙ্ক্ষিত মানের ছিল না বলে দাবি মাশরাফির। তিনি বলেন, ‘রান কিছু কম হওয়ার পরও আমরা যদি টাইট বোলিং আর ফিল্ডিং ব্যাকআপটা ঠিকমতো করতে পারতাম, তাহলে এ রান নিয়েও হয়তো সুযোগ থাকতো জেতার। কিন্তু সেটাও হয়নি। শুরুটা ভালো করেছিলাম আমরা। দু’তিনটি ক্যাচ ড্রপ হয়েছে। তারপরও আমরা লড়াই করে একদম শেষ সময়ে গিয়ে ছিটকে পড়েছি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রশংসা করতেও ভুললেন না মাশরাফি। বিশেষ করে সাই হোপের। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা ওদের দিন ছিল। সবকিছু ওদের ফেভারে গেছে। সাই হোপ দারুণ ব্যাটিং করেছে এবং সে নিজের ওপর আস্থা রেখে দল জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছে।’
পঞ্চপাণ্ডবের শততম ম্যাচ। জয়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে হেরে গেছে তারা। নিজেদের এই মাইফলকে হার নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আর আমাদের শততম ম্যাচ জিততে পারলে অবশ্যই ভালো লাগতো। তাতে সিরিজটাও নিশ্চিত হতো।’
মাশরাফি মনে করেন, নিজেদের যা করণীয় ছিল তা করতে পারেনি বলেই এই হার। সামনের ম্যাচটা নিয়েই এখন তার আশায় বসতি। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমাদের মাঠে যা যা করণীয় কাজ ছিল, তা আমরা যথাযথভাবে করতে পারিনি। সে কারণেই হেরেছি। এখন সিলেটে একটু ভিন্ন উইকেট- অবশ্যই এর চেয়ে অনেক ভালো ক্রিকটে খেলতে হবে।’
এআরবি/আইএইচএস/বিএ