ঢাকায় এটা শেষ ম্যাচ হতে পারে, নাও হতে পারে : মাশরাফি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক স্ট্যাটাস। ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তবে কি শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। গ্যালারিতে আজ দর্শকদের অধিকাংশেরই উপস্থিতি ছিল, ঢাকার মাঠে মাশরাফির শেষ ম্যাচ দেখার জন্য। এ কারণে মাশরাফি যখন ব্যাট করতে নামেন কিংবা বল হাতে বোলিং করার জন্য দৌড় দেন- তখন দর্শক-সমর্থকদের উল্লাসই জানান দিচ্ছিল, তাদের কাছে এই ম্যাচটা বিশেষ কিছু।
২৫৫ রান করার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিল, ম্যাচটা জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু একা এক সাই হোপ কেড়ে নিলেন বাংলাদেশের জয়। একাই যদি কেউ ১৪৬ রান করে ফেলেন এবং দল না জেতানো পর্যন্ত ধনুর্ভঙ্গ পণ করে মাটি কামড়ে ক্রিজে পড়ে থাকেন, তখন আসলে তার কাছ থেকে জয় কেড়ে নেয়া সহজ হয় না। সাই হোপ সেটাই করলেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয় এনে দিলেন।
হোপের কাছে আশা ভঙ্গের বেদনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু সেখানে তিনি মুখোমুখি হলেন আরেকটি বেদনার্ত প্রশ্নের। শেরে বাংলায় এটা তার শেষ ম্যাচ কি না- সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে সে প্রশ্ন উঠেছে বার বার।
যেহেতু বিশ্বকাপের পর তিন মাসেও শেরে বাংলায় কোনো ওয়ানডে নেই। তাই এ প্রশ্নটা আরও জোরালো হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনেও মাশরাফি এমন প্রশ্নের সম্মুখিন হয়েছিলেন। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে সে প্রশ্ন উঠলো আবারও। একবার-দুবার নয়, অন্তত বার তিনেক তার কাছে জানতে চাওয়া হলো, ‘শেরে বাংলায় এটাই কি আপনার শেষ ম্যাচ?’
এ বিষয়ে বলতে গিয়ে মাশরাফি স্পষ্ট করে কিছু বললেন না। সমর্থকদের ঝুলিয়ে রাখলেন তিনি কি সিদ্ধান্ত নেন, সেটা জানা পর্যন্ত। তিনি বললেন, ‘আসলে এটা আমার শেষ ম্যাচ হতে পারে, নাও হতে পারে। তবে কঠিন সত্য হলো, এটা একটা প্রক্রিয়া। একদিন সবাইকে চলে যেতেই হবে। যেমন ভক্ত ও সমর্থকদের আবেগ আছে, আমারও তাই। তবে আমি এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি কি করবো। যদিও আমার ক্যারিয়ার এবং জীবনেরই একটা বৈশিষ্ট্য আছে যে, আমি হঠাৎ কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। সে রকম কিছু হলে ভিন্ন কথা। এখন আপাতত এ নিয়ে কোনো কিছু ভাবিনি।’
এআরবি/আইএইচএস/পিআর