দ্বিতীয় ওয়ানডের একাদশ কেমন হবে?
টিম কম্বিনেশন বদলায়নি। বাংলাদেশ তিন পেসার আর দুই স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়ে ঢাকার শেরেবাংলায় ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামবে-এটা দুই তিন দিন আগেই ঠিক হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বোলিং ছকে কোনো রদবদল ঘটেনি।
মাশরাফির নেতৃত্বে ৯ ডিসেম্বর তিন জেনুইন পেসবোলার আর দুই স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়েই খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। বোলিং ডিপার্টমেন্ট বা লাইনআপে কোনো পরিবর্তন না ঘটলেও প্রথম ম্যাচের একাদশ সাজানো নিয়ে তবু হয়েছে অনেক নাটক।
চলেছে আলোচনা-পর্যালোচনা। অনেক নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত একাদশে এসেছেন চার চারজন ওপেনার তামিম ইকবাল, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার।
তারপরও ধোঁয়াশা কাটেনি। তামিম ইকবালের সাথে ওপেন করবেন কে-ইমরুল, সৌম্য না লিটন? তিনরকমই শোনা যাচ্ছিল। প্রথমে শোনা গেল ইমরুল কায়েসের নাম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে দুই সেঞ্চুুরিসহ ৩৪৯ রান করা ইমরুলই হবেন তামিমের সঙ্গী- এমনটাই ধারণা ছিল।
পরে ইমরুলের সাথে সৌম্যর নামও উঠে আসে। জিম্বাবুয়ের সাথে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে সেঞ্চুরি করা সৌম্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচেও তামিমের সঙ্গী হয়ে শতক উপহার দেন। উঠে আসেন পাদপ্রদীপের আলোয়।
কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে শোনা যায়-নাহ, বাঁহাতি তামিম ইকবালের সাথে দুই বাঁহাতি ইমরুল-সৌম্যর কেউ না। ডানহাতি লিটন দাসকে দিয়ে ওপেন করানো হবে। আর তাতেই ইমরুল ওপেন থেকে তিনে আর সৌম্য ছয়ে চলে যান।
এমন টিম কম্বিনেশন নিয়ে বিস্তর হৈ চৈ। দলে আরও ব্যাটসম্যান থাকার পরও চার চারজন ওপেনারকে একসঙ্গে ১১ জনে রাখা কেন? চার ওপেনার তো আর ইনিংসের সূচনা করবেন না, দুজনই ব্যাট হাতে ওপেনারের ভূমিকায় থাকবেন। তাহলে বাকি দুজন ওপেনার কেন দলে?
এসব প্রশ্নও উঠে এসেছে। এটা ঠিক, চার ওপেনারের পক্ষে একসঙ্গে ওপেন করার সুযোগ নেই। বাকি দুজনকে টপ ও মিডল অর্ডারে খেলতেই হবে। হয়েছেও। তামিম-লিটন ওপেন করেছেন। আর ইমরুল খেলেছেন তিন নম্বরে। আরেক বাঁহাতি সৌম্য সরকারকে খেলানো হয়েছে ছয় নম্বরে।
কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো-দলে থাকা মিঠুন আর আরিফুলের চেয়ে সৌম্য সব হিসেব নিকেশেই বেটার অপশন। ব্যাটের জোর বেশি। আর ওপরেই শুধু নয় নিচে নেমেও বড় ইনিংস খেলতে পারেন এই বাঁহাতি। শতরান হাঁকানোর পাশাপাশি ম্যাচ শেষ করে বিজয়ীর বেশে সাজঘরে ফেরার সামর্থ্যও আছে। তাই সৌম্যর ওপর আস্থা বেশি টিম ম্যানেজমেন্টের।
সে কারণেই চার ওপেনার খেলানো কেন? সে প্রশ্ন ধোপে টেকেনি। আর এমন নয়, চার ওপেনারকে খেলাতে গিয়ে একাদশের কোনো অতি নির্ভরযোগ্য বা অপরিহার্য সদস্য বাদ পড়েছেন।
তাই নির্বাচকরা পরের ম্যাচে মানে কালকেও আর নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষায় যাচ্ছেন না। প্রথম দিন যে দল খেলেছে, কাল দ্বিতীয় ম্যাচেও সে দলটিই খেলবে। একাদশে কোনই পরিবর্তন আসছে না-প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সোমবার রাতে জাগো নিউজকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'সাইফউদ্দীনকে খেলানোর কথা উঠেছে। তবে অধিনায়ক মাশরাফির বড় আস্থা রুবেলের ওপর। তাই প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে না পারলেও রুবেলই খেলবে।'
সম্ভাব্য একাদশ : তামিম, লিটন, ইমরুল, মুশফিক, সাকিব, সৌম্য, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, মাশরাফি (অধিনায়ক), রুবেল ও মোস্তাফিজ।
এআরবি/এমএমআর/পিআর