গ্লাভস হাতে রিশাভ পান্তের বিশ্বরেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

মাত্র ছয় ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ব্যাটিংয়ের জন্য যতোটা না সমালোচিত হয়েছেন ভারতীয় তরুণ উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্ত, তার চেয়ে বেশি কথা হজম করেছেন উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতের ব্যর্থতায়।

পান্তের আগে ভারতের উইকেটরক্ষক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা ঋদ্ধিমান সাহার মতো ক্ষিপ্র ও চতুর উইকেটরক্ষকরা কিপিং গ্লাভস হাতে নেয়ায় পান্তের সমালোচনার মাত্রাটা বেড়ে যায় আরও বেশি। সেসব সমালোচনাকে ছাপিয়ে পান্ত এবার কিপিং গ্লাভস হাতেই গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড।

টেস্ট ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে এক ম্যাচে ১১ ডিসমিসালের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন পান্ত। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পড়েছে ৮টি। শেষের দুই উইকেটের মধ্যে আর একটি ক্যাচ বা স্টাম্পিং পেলেই সবাইকে ছাড়িয়ে এককভাবেই শীর্ষে উঠে যাবেন পান্ত।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ছয়টি ক্যাচ নিয়ে ভারতের পক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড গড়েছিলেন ২১ বছর বয়সী এ তরুণ। তার আগে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ঋদ্ধিমান সাহা- দুজনেই এক ইনিংসে ৬ ডিসমিসাল নিয়েছেন।

কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আরও পাঁচটি ক্যাচ ধরে ধোনি বা ঋদ্ধিমানকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন পান্ত। এতোদিন ধরে ভারতের পক্ষে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড ছিলো ১০টি। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই এ রেকর্ড গড়েছিলেন ঋদ্ধিমান। সেটি ভেঙে বিশ্বরেকর্ডেই নিজের নাম লেখালেন পান্ত।

পান্তের আগে এক ম্যাচে ১১ ডিসমিসাল নেয়া দুইজন উইকেটরক্ষক হলেন ইংল্যান্ডের জ্যাক রাসেল ও দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে ১১ ডিসমিসাল নেন রাসেল। ১৮ বছর পরে ২০১৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সে রেকর্ডে ভাগ বসান ডি ভিলিয়ার্স।

আর এ তালিকায় সবশেষ সদস্য হিসেবে যুক্ত হলেন রিশাভ পান্ত। এ কীর্তি গড়ার পথে প্রথম ইনিংসে উসমান খাজা, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, ট্রাভিস হেড, টিম পেইন, জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্কের ক্যাচ ধরেন পান্ত। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি গ্লাভসবন্দী করেছেন অ্যারন ফিঞ্চ, মার্কাস হ্যারিস, শন মার্শ, টিম পেইন ও মিচের স্টার্কের ক্যাচ।

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।