আজহার-শফিকের সেঞ্চুরির পর সেই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৩ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮

পাকিস্তান দলটির সঙ্গে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমাটা তো এমনি এমনি লেগে যায়নি! তারা কখন কি করে বসবে অনুমান করা মুশকিল। আবুধাবিতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টেস্টে আরও একবার নিজেদের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ চেহারাটা দেখাল পাকিস্তান।

আজহার আলি আর আসাদ শফিকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে একটা সময় রান পাহাড়ে চড়ার পথেই ছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে হঠাৎ ব্যাটিং ধ্বস। মুড়িমুড়কির মতো পড়লো উইকেট।

নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে গড়া ২৭৪ রানের জবাবে পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ৩৪৮ রানে। লিডটা কম নয়, ৭৪ রানের। তবে এই লিড আরও বড় হওয়ারই কথা ছিল। আজহার আলি আর আসাদ শফিকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর যদি ব্যাটিং ধ্বসটা না হতো।

একটা সময় ৪ উইকেটেই ৩০৪ রান তুলে ফেলেছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে তারা অলআউট ৩৪৮ রানে। অর্থাৎ শেষ ৬ উইকেটে সরফরাজ আহমেদের দল তুলতে পেরেছে মাত্র ৪৪ রান।

একটা সময় ৮৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন আজহার আর শফিক। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ২০১ রানের বড় জুটি। ২৯৭ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি তুলে ১৩৪ রানে আউট হন আজহার।

এরপর খুব বেশি দেরি করেননি শফিকও। সেঞ্চুরি তোলার পর তিনিও ফিরেন সাজঘরে। ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরির ইনিংসটি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান সাজিয়েছিলেন ২৫৯ বলে ১৪ চারে।

সেই যে উইকেট যাওয়া শুরু। এরপরের সময়টায় আর এই স্রোতে বাঁধ দিতে পারেনি পাকিস্তান। অধিনায়ক সরফরাজ লড়ার চেষ্টা করেছিলেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হন ২৫ রান করে।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে সফল অভিষিক্ত অফস্পিনার উইলিয়াম সভারভিল। ৭৫ রানে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট।

এমএমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।