কোহলিকে ছাড়ানোর চিন্তা মাথায় নেই মুমিনুলের

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৯ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

চলতি বছরে টেস্টে চারটি সেঞ্চুরি, আছে কেবল বিরাট কোহলির। চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ভারতীয় অধিনায়ককে ধরে ফেলেছেন বাংলাদেশের লিটল জিনিয়াস মুমিনুল হক। কোহলির চেয়ে কম ইনিংস খেলায় মুমিনুল কিছুটা এগিয়ে। এবার তার সামনে সুযোগ সেঞ্চুরিতেও এগিয়ে যাওয়ার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুক্রবার থেকে শুরু মিরপুর টেস্টে একটি সেঞ্চুরি করতে পারলেই বছরে ৫টি সেঞ্চুরি হয়ে যাবে মুমিনুলের। ছাড়িয়ে যাবেন বর্তমান বিশ্বের এক নাম্বার ব্যাটসম্যান কোহলিকে।

তবে বরাবরের মতো নির্লিপ্ত মুমিনুল এসব রেকর্ড-টেকর্ড নিয়ে ভাবছেন না। সেঞ্চুরিতে বছর শেষ করা নয়, দলের জন্য অবদান রাখাটাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাঁহাতি এই লিটল জিনিয়াস বলেন, ‘এভাবে চিন্তা করিনি যে বছরটা শেষ হবে হয়তো বা আমি ১০০ করেছি বা শেষ ম্যাচ ১০০ দিয়ে শেষ করতে চাইবো। আসলে ওইভাবে চিন্তা করলে পারফর্ম করাটা কঠিন। আমি সবসময়ই চিন্তা করি একজন খেলোয়াড় হিসেবে দলের জন্য অবদান রাখার।’

আপনার চারটা সেঞ্চুরি, বিরাট কোহলিরও তাই। আপনার আরেকটা সুযোগ আছে। কি ভাবছেন? এমন প্রশ্নের জবাবেও কৌশলী মুমিনুল। বলেন, ‘না, আমি ওইভাবে চিন্তা করছি না যে আমার আরেকটা সুযোগ আছে। একটু আগে আমার প্রশ্নের উত্তরটায় হয়তো বা আপনি মোটামুটি ক্লিয়ার হয়ে গেছেন। আমি ওইভাবে চিন্তা করি না। আমি সবসময় চেষ্টা করি টিমের জন্য যতটুকু করা যায়, ব্যাটিংয়ের সময় যত সেশন খেলা যায়। আমি যেভাবে প্ল্যান করি, আমার যে রুটিন ওইভাবে চেষ্টা করি। হলে হলো, না হলে...।’

৩২ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৮টি সেঞ্চুরি। এর মধ্যে তিনটিই দেড়শোর্ধ ইনিংস। সর্বোচ্চ ১৮১। ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপটা কি রয়েই যাচ্ছে? মুমিনুল মনে করেন, এটা নিয়ে এত দুশ্চিন্তার কিছু নেই, ‘ওইভাবে যদি আমি বেশি চিন্তা করি, তাহলে জিনিসটা খুব বিরক্তিকর হবে। কারণ আপনি যদি সবসময় চিন্তা করেন আমি ১৫০ করছি, ২০০ কেন করতে পারছি না (তবে তো সমস্যা)। আমার কাছে মনে হয়, আপনি যদি রেগুলার বেসিসে কাজ করেন, রেগুলার প্র্যাকটিস করেন, হয়তো ওই জিনিসটা এক সময় না এক সময় হয়ে যাবে।’

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।