বিসিএলে কেউই নেয়নি আশরাফুলকে
গত আগস্ট মাসে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পরে মোহাম্মদ আশরাফুলের একমাত্র লক্ষ্য ও স্বপ্ন ছিলো জাতীয় দলে ফেরা। কিন্তু সে লক্ষ্য পূরণে করতে হতো কাড়ি কাড়ি রান। যা তিনি করতে পারেননি সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে। যে কারণে মৌসুমের পরের টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) কোনো দলই তাকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
আগামী ২১ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে বিসিএলের এবারের আসর। এর আগে শনিবার দেশের হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো হয়ে গিয়েছে বিসিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। জাতীয় ক্রিকেট লিগের সেরা পারফর্মারদের মধ্যে ৮০ জনকে নিয়ে গড়া হয়েছে ৪ দল।
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব্যাংক ইষ্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন- এই চার দলে মোট ২০ জন করে খেলোয়াড় ভাগ করে নিয়েছে দলগুলো। গত আসর থেকে সর্বোচ্চ ছয়জন খেলোয়াড় রিটেইন করতে পেরেছে তারা।
গত মৌসুমে ইসলামী ব্যাংক ইষ্ট জোনে খেললেও এ মৌসুমে আশরাফুলকে দলে নেয়নি তারা। অবশ্য এনসিএলের সবশেষ আসরে বলার মতো কিছু করতে পারেননি আশরাফুল। ঢাকা মেট্রোর হয়ে মোট ৬ ম্যাচের ৯ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে সবেমাত্র ২৫৩ রান। যেখানে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৩ রানের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসে ছিল ৪৯ রানের। এছাড়া ব্যাটিংয়ে সঙ্গে বল হাতে ৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
যে কারণে এবারের বিসিএলে মাঠের বাইরেই কাটাতে হবে আশরাফুলকে। তবে বিসিএলে সুযোগ না পেলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে খেলবেন তিনি। ফলে বিপিএলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাই এখন আশরাফুলের লক্ষ্য ও করণীয়।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক বিসিএলের দলগুলো
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন: সাদমান ইসলাম, আবু হায়দার রনি, শুভাগত হোম, তাইবুর রহমান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মার্শাল আইয়ুব, নাজমুল হোসেন শান্ত, রবিউল হক, আব্দুল মজিদ, শহীদুল ইসলাম, জাকের আলী, আরাফাত সানী, মোসাদ্দেক হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল, সাইফ হাসান, শরীফউল্লাহ, ইয়াসিন আরাফাত, লিটন দাশ, জাবিদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন: তুষার ইমরান, এনামুল হক বিজয়, শাহরিয়ার নাফিস, আল-আমিন হোসেন, কাজী নুরুল হাসান, আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম, রকিবুল হাসান, কামরুল হাসান রাব্বী, আল-আমিন, নাহিদুল ইসলাম, ফজলে মাহমুদ, মেহেদী হাসান, সাজেদুল ইসলাম, মনির হোসেন, সালমান হোসেন, দেলোয়াড় হোসেন, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিথুন ও মেহেদী মারুফ।
ইসলামী ব্যাংক ইষ্ট জোন: মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুমিনুল হক, খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী, জাকির হাসান, আফিফ হোসেন, ফরহাদ রেজা, রনি তালুকদার, শামসুর রহমান, ইয়াসির আলী, তাসামুল হক, এনামুল হক জুনিয়র, হাসান মাহমুদ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মাহমুদুল হাসান, সাদিকুর রহমান, ইরফান হোসেন, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান ও ইমরুল কায়েস।
বিসিবি নর্থ জোন: জহুরুল ইসলাম অমি, জুনায়েদ সিদ্দীক, ফরহাদ হোসেন, নাঈম ইসলাম, শুভাশিষ রায়, মিজানুর রহমান, সানজামুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, শরীফুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, ধীমান ঘোষ, তানবীর হায়দার, সোহাগ গাজী, মোহর শেখ, ইবাদত হোসেন, তানবীর ইসলাম, মুক্তার আলী, আরিফুল হক ও তৌহিদ হৃদয়।
এসএএস/পিআর