সাত বছর পর জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৮

২ উইকেটে ১৮২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করার পরেই সবার বোঝা হয়ে গিয়েছিল, এবার জাতীয় লিগের শিরোপা উঠছে রাজশাহী বিভাগের হাতে। জুনায়েদ সিদ্দিকী ১২০ রান করে সেই ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিলেন। সঙ্গে ছিল জহুরুল ইসলাম অমির ৬৪ রানের অসাধারণ ইনিংস। যার ফলে বরিশাল বিভাগকে অনায়াসেই ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে জাতীয় লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে রাজশাহী বিভাগ।

সাত বছর পর এসে আবারও জাতীয় লিগের শিরোপা হাতে তুলে নিতে পারলো রাজশাহী। ২০১১-১২ মৌসুমের পর এবার সাব্বির, জুনায়েদ, জহুরুল ইসলাম অমি কিংবা সানজামুল ইসলামদের নৈপুণ্যে আবারও শিরোপা জিততে পারলো উত্তরাঞ্চলের দলটি।

ছয় ম্যাচে দুই জয় ও চারটি ড্রয়ে ৩৪.৮১ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরের টেবিলে শীর্ষস্থানটি দখলে নেয় রাজশাহী। ২৪.৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান তথা রানারআপ হয়েছে রংপুর বিভাগ। শেষ ম্যাচে খুলনার সঙ্গে জিততে পারলে হয়তো বা সম্ভাবনা ছিল খুলনারও। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ড্র করতে হলো। তবে, শেষ মুহূর্তে জিতলেও কাজ হতো না, কারণ বোনাস পয়েন্টে পিছিয়ে যেতে হতো রংপুরকে।

গত তিনটি মৌসুমে জাতীয় লিগে একাধিপত্য দেখিয়েছিল খুলনা বিভাগ। টানা তিন বার শিরোপা জিতেছিল তারা। এবার তাদের আধিপত্যের অবসান ঘটালো রাজশাহী। অথচ, গত মৌসুমে রাজশাহী খেলেছিল দ্বিতীয় স্তরে। ঢাকা মেট্রো, সিলেট এবং চট্টগ্রামকে পেছনে ফেলে প্রথম স্তরে উঠে আসে তারা এবং প্রথম স্তরে আসার প্রথম মৌসুমেই জিতে নিলো শিরোপা।

চতুর্থ ইনিংসে রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৮৪ রান। আগেরদিনই সাব্বির হোসেন এবং মিজানুর রহমানের দারুণ জুটিতে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল রাজশাহী। দু’জন মিলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ৩০ রান করে আউট হন মিজানুর। ৪৯ রান করে আউটন সাব্বির হোসেন। ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরিটা হয়নি তার।

তবে তৃতীয় উইকেটে ১৪৯ রানের জুটি গড়েন জুনায়েদ সিদ্দিকী এবং জহুরুল ইসলাম। ১২০ রান করে জুনায়েদ আউট হন। ৬৪ রান করে আউট হন জহুরুল ইসলাম অমি। ফরহাদ হোসেন এবং সাব্বির রহমান দু’জনই অপরাজিত থেকে যান ৪ রানে। দিনের প্রথম সেশনেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।