সেই বাংলাদেশেই ঘুচলো জিম্বাবুয়ের ১৭ বছরের অপেক্ষা
টেস্ট ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অভিষেকটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ১৯৯২ সালে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টেস্টেই তুলনামূলক শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে দাপটের সাথেই ড্র করেছিল তারা। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকেও রুখে দিয়েছিল দুর্দান্ত ব্যাটিং করে। কিন্তু এরপর আর ঠিক খুব বেশি এগোয়নি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের ইতিহাসের ১০৬তম ম্যাচটি খেলেছে তারা। এর মধ্যে ১২টি ম্যাচে জিততে পেরেছে রোডেশিয়ানরা। হেরেছে ৬৭টি ম্যাচে, ড্র হয়েছে বাকি ২৭টি ম্যাচ। বাংলাদেশকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের দ্বাদশ জয় পেলেও ঘরের বাইরে এটি কেবলমাত্র তৃতীয় জয় জিম্বাবুয়ের।
সব মিলিয়ে পাঁচ বছর পর টেস্ট ম্যাচ জেতা জিম্বাবুয়ে বিদেশের মাঠে জিতল ১৭ বছর পরে। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাটিতে পেশোয়ার টেস্টে ৭ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছিল তারা। যা ছিলো ঘরের বাইরে জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্ট জয়।
এরপর ঘরের বাইরে দ্বিতীয় জয়টি পেতে জিম্বাবুয়েকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও তিন বছর। বাংলাদেশের ইতিহাসের সপ্তম ও নিজেদের ৫৮তম টেস্টে গিয়ে ঘরের বাইরে দ্বিতীয় জয়টি তুলে নেয় তারা। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া সে ম্যাচে ৮ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে।
সেই জয়ের পরে গত ১৭ বছরে বিদেশের মাটিতে ২১টি ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ দেখা হয়নি জিম্বাবুয়ের। মাঝে বেশ কয়েক বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে স্বেচ্ছা অবসরেও ছিলো তারা। মাঝের ১৭ বছরে বিদেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের অবস্থা এতোটাই শোচনীয় ছিলো যে ২১ ম্যাচের মধ্যে তারা ড্র-ই করতে পেরেছিল কেবল একটি ম্যাচে। হেরেছিল বাকি ২০টি ম্যাচেই। একমাত্র ড্র'টিও ছিলো বাংলাদেশের বিপক্ষে, বাংলাদেশের মাটিতেই। ২০০৫ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।
আবার সেই বাংলাদেশের মাটিতে এসেই ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে মাসাকাদজা বাহিনী। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের হতশ্রী ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ে পেয়েছে ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়।
১৭ বছর পরে দেশের বাইরে জয় পাওয়ার পর, বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘ করতে চাইবে না জিম্বাবুয়ে। তাদের সামনে আসন্ন ঢাকা টেস্টেই রয়েছে ঘরের বাইরে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নেয়ার সুযোগ। অন্যদিকে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য থাকবে আবারও জিম্বাবুয়েকে দেশের বাইরে জয়খরায় বন্দী করে রাখা।
এসএএস/জেআইএম