তবুও ভয়ে আছে জিম্বাবুয়ে!
ম্যাচের বাকি দুই দিন, বাংলাদেশের হাতে রয়েছে পুরো ১০টি উইকেট, দুইদিনের খেলা হবে অন্তত ১৮০ ওভার, জিততে হলে করতে হবে ২৯৫ রান। সংখ্যার বিচারে খুবই সহজ। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আগের সাত টেস্ট ইনিংস দেখলে যে কেউ বাজি ধরবেন জিম্বাবুয়ের পক্ষেই।
কেননা চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংস সহ টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সবশেষ সাত ইনিংসে একবারও যে ২০০ পার করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই সাত ইনিংসে সর্বোচ্চ ছিলো ১৬৮ রান। অথচ জিম্বাবুয়েকে হারাতে হলে চতুর্থ ইনিংসে তাড়া করতে হবে ৩২১ রানের লক্ষ্য।
বাংলাদেশের ইতিহাসে তো নেই-ই, ক্রিকেট ইতিহাসেও ৩২০ বা তার অধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড মাত্র ২০টি। অর্থাৎ তৃতীয় দিন শেষে সিলেট টেস্টের পাল্লা ঝুঁকে রয়েছে জিম্বাবুয়ের দিকেই। তবু তৃতীয় দিন শেষে নির্ভার থাকছে না জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। দলের কোচ লালচাঁদ রাজপুতের মতে এখনো যেকোনো দিকেই যেতে পারে ম্যাচ।
বর্তমান অবস্থা থেকে জিম্বাবুয়ে জিততে পারবে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাজপুত বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক থেকে খেলতে চাই। আমরা অবশ্যই জিততেই এসেছি। আমি নিজে একজন ইতিবাচক মানুষ। কখনো শেষের আগে হার মানি না আমি। আমাদের প্রতিপক্ষ এখন এমন অবস্থায় আছে যেখান থেকে আমাদের হারাটা বেশ কষ্টসাধ্যই।’
রাজপুতের এমন আশাবাদী উত্তরের পরেই জিজ্ঞেস করা হয় বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনার কথা। এ বিষয়ে জবাব দিতে গিয়েই বেশ সাবধানতা অবলম্বন করেন রাজপুত। ম্যাচের শেষ উইকেট নেয়ার আগপর্যন্ত বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করেন জিম্বাবুয়ের কোচ।
তিনি বলেন, ‘ম্যাচের শেষ উইকেট বা শেষ রান নেয়ার আগপর্যন্ত আপনি কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবেন না। আমরা ইতিবাচক থাকতে চাই। আগামীকাল আমরা তাদের দশ উইকেট নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
প্রথম ইনিংসে ২৮২ রান করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছে ১৮১ রানে। ফলে লিড দাঁড়িয়েছে ৩২০ রানের। বাংলাদেশকে করতে হবে ৩২১ রান। জিম্বাবুয়ের কোচ মনে করছেন এ উইকেটে লিডটা আরও বেশি নেয়া উচিৎ ছিলো তার দলের।
রাজপুত বলেন, ‘উইকেটের চরিত্রটাই আসলে ভিন্নরকম। তবে আমাদের আরও বেশি রান করা উচিৎ ছিলো। আমাদের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে থিতু হয়েও আউট হয়ে গিয়েছে। তবে এটাই উইকেটের চরিত্র। চতুর্থ দিনের উইকেট আরও কঠিন হবে। বোলারদের জন্য সাহায্য থাকবে আশা করি। তবে আমাদের ভালো বোলিং করতে হবে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
এসএএস/এমএস