ব্যাট হাতে স্বস্তি নেই বাংলাদেশের ইনিংসে

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৮

উইকেটে বোলারদের জন্য বিশেষ কিছু নেই, টিকে থাকতে পারলেই করা যাবে রান। প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং দেখেই বুঝা গিয়েছে এ কথা। কিন্তু উইকেটে টিকে থাকাটাই যেনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ দলের জন্য। দলীয় পঞ্চাশের আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।

তবে আশার কথা হলো ষষ্ঠ উইকেটে দলের ভাঙা তরীকে টেনে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও অভিষিক্ত অলরাউন্ডার আরিফুল হক। চা পানের বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭৪ রান। মুশফিক ২৭ ও আরিফুল ৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

দ্বিতীয় দিন সকালে জিম্বাবুয়েকে মাত্র ২৮২ রানেই থামিয়ে দেয়ার সুখস্মৃতি নিয়ে নিজেদের ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তাইজুলের ক্যারিয়ারের চতুর্থ পাঁচ উইকেট নেয়ার আনন্দটা বেশিক্ষণ টিকতে দেননি ব্যাটসম্যানরা।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগে হওয়া এক ওভারে বিনা উইকেটে ২ রান করেছিল বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। টেন্ডাই চাতারার নিরীহ দর্শন এক ডেলিভারিতে ডিফেন্ড করেও উইকেটে আঘাত হানা থেকে বিরত রাখতে পারেননি ইমরুল। ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে চমক দেখানো ইমরুল আউট হওয়ার আগে করেন ৫ রান।

নিজের সঙ্গীর বিদায়ের পরে বেশিক্ষণ থাকেননি লিটনও। ইনিংসের নবম ওভারে কাইল জার্ভিসের বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।

পরের ওভারে বাংলাদেশকে চূড়ান্ত বিপদে ফেলে দেন চাতারা। ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্ত, পঞ্চম বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ১৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয় নামে বাংলাদেশের ইনিংসে।

পঞ্চম উইকেটে মুশফিকের সাথে আশা দেখিয়েছিলেন বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। দুজন মিলে গড়েন ৩০ রানের জুটি। যখনই মনে হচ্ছিলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ঠিক তখনই সিকান্দার রাজার বোলিংয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মুমিনুল। আউট হওয়ার আগে করেন ১১ রান।

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।