ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪২ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৮

ক্রিকেট মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা বিরল কিছু নয়। প্রিয় তারকাকে একটু ছুঁয়ে দেখার আশায় অনেক সময় অযাচিত কান্ড করে বসেন পাগল ভক্তরা। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকুর রহীম এমন পরিস্থিতিতে এবারই বোধ হয় প্রথম পড়লেন।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের টেস্ট অভিষেক হয়েছে আজ। সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করছে সফরকারি জিম্বাবুয়ে, যে টেস্টে টাইগার দলের উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মুশফিক।

ইনিংসের ৪৮তম ওভারের ঘটনা। আনুমানিক ৮-৯ বছর বয়সী একটি বালক হঠাৎই মাঠে ঢুকে গেল নিরাপত্তারক্ষীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে। দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরল মুশফিককে। প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি মুশফিক, পরে বুঝলেন-এটা আর কেউ নয়, পাগল ভক্ত।

ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে হতচকিয়ে গেলেও পরে শিশু ভক্তটিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন মুশফিক। নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে ধরতে চাইলেও উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান প্রথমে সেটা করতে দেননি, বুঝিয়ে সুঝিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান ওই শিশুকে।

এমন কান্ড দেখে মুশফিকের সতীর্থরা খুব মজা পাচ্ছিলেন। দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা আবু জায়েদ রাহিরও এই ঘটনার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতেই হলো। রাহি জানান, পরে স্বাভাবিক হলেও প্রথমে নাকি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন মুশফিক।

রাহির কাছে মজার একটি প্রশ্ন ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের, মুশফিকের মতো তারও যদি এমন ভক্ত থাকতো তবে কেমন লাগতো? জবাবটা রসিকতার সঙ্গেই দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় ফ্যান থাকলে খুব ভালো। কিন্তু এখন আমি সিলেটে ঘুরতে পারি, এটাই ভালো। এমন ভাবলে মনে হয়, ফ্যান না থাকলেই ভালো!’

হঠাৎ মাঠে ঢুকে পড়া ওই বালককে দেখে প্রথমে কেমন অনুভূতি হয়েছিল মুশফিকের? তিনি এই বিষয়ে কি বলেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রাহি বলেন, ‘মুশফিক ভাই তেমন কিছু বলেননি। উনি তখন বলেন, 'আমি ভয় পাইয়া গেছিলাম রে!' ও যখন ঢুকছে আমি দেখছি দৌঁড়ে আসছে। আমি যে মুশফিক ভাইকে কি বলব, খুঁজে পাচ্ছিলাম না। মুশফিক ভাইয়ের কাছে আসছিল, না মিরাজের কাছে আসছিল আমি বুঝতে পারছিলাম না। জাস্ট মুশফিক ভাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।’

এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।